Vineet Goyal

CP of Kolkata: রাতের শহর পরিদর্শনে সিপি, ধৃত শতাধিক

নিরাপত্তা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাতে শহরের রাস্তায় ঘুরলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২২ ০৭:০৬
Share:

ফাইল ছবি

নিরাপত্তা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাতে শহরের রাস্তায় ঘুরলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। মহাকরণের পাশাপাশি তিনি যান উত্তর থেকে দক্ষিণের একাধিক জায়গায়। মঙ্গলবার রাতেই ট্র্যাফিক পুলিশের পাশাপাশি শহরের নানা জায়গায় যৌথ অভিযান চালায় বিভিন্ন ডিভিশনের অন্তর্গত থানা এবং গোয়েন্দা বিভাগ। ধরপাকড়ের পাশাপাশি উদ্ধার হয় মদ। মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরিপ্রেক্ষিতেই লালবাজারের এই বাড়তি পদক্ষেপ।

Advertisement

অতীতেও একাধিক পুলিশ কমিশনার রাতের শহরের পরিস্থিতি দেখতে রাস্তায় নেমেছেন। সে ভাবেই মঙ্গলবার রাত ১১টার কিছু আগে লাউডন স্ট্রিটের সরকারি বাসভবন থেকে বেরোন পুলিশ কমিশনার। শেক্সপিয়র সরণি হয়ে প্রথমে যান মেয়ো রোডে। পথে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান, রাতের নিরাপত্তায় তাঁদের কী ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর পরে সিপি সোজা যান মহাকরণে। সেখানে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি আসেন ধর্মতলায়। ওই এলাকায় তখন নাকা তল্লাশি চলছিল। ধর্মতলায় কিছু ক্ষণ থাকেন কমিশনার। এর পরে উত্তরের শ্যামবাজার, রাজাবাজার, মৌলালি, পার্ক সার্কাস হয়ে তিনি হাজরা, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ধরে একাধিক জায়গায় ঘোরেন। আইনভঙ্গকারীদের সচেতন করতেও দেখা যায় তাঁকে।

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, কিছু দিন ধরেই রাতে মত্ত চালকদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ আসছিল। কিছু জায়গায় কলকাতা পুলিশের মহিলা বাহিনী ‘উইনার্স’-এর টহল বাড়ানো হয়। কিন্তু তার পরেও এমন অভিযোগ আসতে থাকায় ও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঘটনার পরে এই অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়। এই অভিযানে ট্র্যাফিক পুলিশ ২৮৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোয় গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৭ জনকে। বিভিন্ন ডিভিশন ব্যবস্থা নিয়েছে ১৩৯ জনের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৪ জনকে। গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করেছে ২৮ জনকে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ লিটার মদ। তবে এক রাতের পুলিশি অভিযানের যদি এই ছবি হয়, তা হলে অন্যান্য দিনের পরিস্থিতি কেমন? পুলিশ কমিশনার এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এখন থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর আচমকা অভিযানের কথা ভাবা হচ্ছে। আশা করা যায়, এতে রাতের অপরাধ কমবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement