আরজি কর হাসপাতালে হামলার মুহূর্ত। ছবি: পিটিআই।
বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে কারা হামলা চালাল? স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সেই ঘটনায় আরও কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে। সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার (সিপি) বিনীত গোয়েল নিজেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাঁদের। চলছে হামলাকারীদের শনাক্ত করার কাজ। সিপির সঙ্গে এক সহকারী পুলিশ কমিশনারও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালেই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ন’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকালেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করা হয়। হামলার মুহূর্তের সে সব ছবিতে বেশ কয়েক জনকে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। তাঁদের সন্ধান দিতে বলা হয়েছিল। সেই ছবিগুলির সূত্র ধরেই আরও কয়েক জনকে আটক করা হয়ে থাকতে পারে। বুধবার রাতে আরজি কর চত্বরে তাঁরা ছিলেন কি না, ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে আটক ব্যক্তিদের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিপি নিজে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান। হামলাকারীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে লালবাজারে।
বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালানো হয়। আন্দোলনের জমায়েত থেকেই কয়েক জন চিকিৎসকদের আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। হামলা চালানো হয় পুলিশের উপরেও। অভিযোগ, অনেক ওষুধপত্র নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে সিসি ক্যামেরা, চেয়ার, টেবিল এবং দরজা। জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামও ভাঙা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পড়ুয়ারা। তবে ওই ভবনের চার তলার সেমিনার হলে, যেখানে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কেউ পৌঁছতে পারেনি বলে দাবি পুলিশের। তারা জানিয়েছে, ওই ঘর অক্ষতই রয়েছে।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অভিযোগ, বুধবার রাতে আরজি করে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। বরং, হামলাকারীদের সামনে পুলিশই পালিয়ে গিয়েছে বা লুকিয়ে পড়েছে। রাতে সেখানে পৌঁছন সিপি স্বয়ং। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হামলার ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বিজেপি এবং সিপিএমের উপর। পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, ডিসি (নর্থ)-র মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আন্দোলনে এই হামলার নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।