R G Kar Hospital Incident

হামলাকারীরা কি আরজি করের সেই সেমিনার রুমে ঢুকেছিলেন? লালবাজারের কাছে প্রশ্ন সিবিআইয়ের

সিবিআই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবার দুষ্কৃতীরা আরজি করে হামলা চালানোর সময় চার তলার সেই সেমিনার রুমে ঢুকেছিলেন কি না, লালবাজারের কর্তাদের কাছে তা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ১২:৫৮
Share:

আরজি কর হাসপাতালের সামনে ভাঙা হয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড। বুধবার রাতে। ছবি: পিটিআই

হামলা চলার পরে আরজি কর হাসপাতালে পরিস্থিতি কী, তা কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তাদের ফোন করে জানতে চাইল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে দুষ্কৃতীরা আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালানোর সময় চার তলায় ফুসফুস এবং বক্ষরোগ বিভাগের সেই সেমিনার রুমে ঢুকেছিলেন কি না, লালবাজারের কর্তাদের কাছে তা-ও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। ওই সূত্রেরই দাবি, কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হামলাকারীরা চার তলার সেমিনার রুমে পৌঁছতে পারেননি। সুরক্ষিত রয়েছে সেমিনার রুম।

Advertisement

মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার মধ্যরাতে হামলা চালানো হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরির বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালান একদল ব্যক্তি। তার পরেই সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, হাসপাতালের চার তলায় ফুসফুস এবং বক্ষরোগ বিভাগের যে সেমিনার রুম থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়, সেটিতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই সেমিনার রুম ‘অক্ষত’ রয়েছে। তার পরেই গুজব এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য আইনি পদক্ষেপ করার কথা জানায় লালবাজার।

বুধবার মধ্যরাত থেকেই নেটাগরিকদের একাংশ ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করতে থাকেন, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা যেখানে ঘটেছিল, সেই সেমিনার রুমে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। (যদিও এই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) একই সঙ্গে ওই পোস্টগুলিতে দাবি করা হয় যে, তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং তদন্তের কাজ ব্যাহত করতেই দুষ্কৃতীরা এমন কাজ করেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা পুলিশের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ‘ভাঙচুরের’ দাবি এবং ভিডিয়ো সম্বলিত একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখা হয়, “অপরাধ সেমিনার রুমে হয়েছিল। আর সেই সেমিনার রুমকে ছোঁয়া পর্যন্ত হয়নি। যাচাই না করা খবর ছড়াবেন না। আমরা গুজব ছড়ানোর জন্য আইনি পদক্ষেপ করছি।”

বুধবার রাত ১২টা নাগাদ আরজি করের সামনে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি শুরু হয়। ঠিক তার পর পরই একদল উন্মত্ত ব্যক্তি আচমকাই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে থাকেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল চত্বরে তাণ্ডব চালায় লেঠেলবাহিনী। পরে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। কয়েক জন পুলিশকর্মী জখমও হয়েছেন হামলাকারীদের ছোড়া ইটে। কিন্তু যাঁরা হামলা চালালেন, তাঁরা কারা? বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement