ফাইল চিত্র।
এ বারেও সমাবর্তন অনুষ্ঠান না করার পক্ষপাতী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার কর্মসমিতিতে এমনই আলোচনা হয়েছে। গত বছরও সমাবর্তন হয়নি।
ক্যাম্পাসে পঠনপাঠন শুরু হলেও করোনা পরিস্থিতিতে সমাবর্তন করার পক্ষপাতী নন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সমাবর্তন হলে এক জায়গায় অনেকের সমাগম হবে। করোনা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকায় এখনও এমন জমায়েতের উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।
শনিবার উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘শুক্রবার কর্মসমিতির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হবে। এর পরে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেব।’’
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছরই ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন হয়। গত বছর করোনার কারণে তা হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রি ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ ক্যাম্পাসে এসেও তা সংগ্রহ করেছিলেন।
শিক্ষক সংগঠন আবুটা-র পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন পূর্ণ সময়ের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের প্রাপ্য ‘ইনক্রিমেন্ট’ ও মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বৃহস্পতিবার উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কর্মসমিতির বৈঠকে আবুটা-র ওই দাবি গৃহীত হয়েছে।