প্রতীকী চিত্র।
গত বছর শহর ও সংলগ্ন এলাকায় যত সংখ্যক সেফ হোম এবং কোয়রান্টিন কেন্দ্রে করোনা আক্রান্তদের থাকার ব্যবস্থা ছিল, চলতি বছরে সেই সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। দফতরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘গত বছরের তুলনায় সেফ হোম এবং কোয়রান্টিন কেন্দ্রের সংখ্যা ২০ শতাংশ বাড়ানো হবে। তেমনই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’
প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ ইতিমধ্যেই যা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা হল, হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপ আচমকা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। অনেকে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েও হাসপাতালে ভর্তি হতে যাচ্ছেন। এক কর্তার কথায়, ‘‘হয়তো তাঁদের এখনই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। তবু তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইছেন। এমন রোগীর ক্ষেত্রেই বিকল্প পরিকাঠামো তৈরির ব্যবস্থা হচ্ছে।’’
রাজ্য সরকারের বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, হোম কোয়রান্টিনে থাকা রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজারের মতো। আর সেফ হোমের সংখ্যা হল ২০০টি। সেখানে শয্যা সংখ্যা ১১,৫০৭। এই মুহূর্তে সংক্রমণের শীর্ষ তালিকায় ক্রমানুযায়ী কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়া থাকায় ওই এলাকাগুলিতে কোয়রান্টিন কেন্দ্র, সেফ হোমের সংখ্যা প্রাথমিক ভাবে বাড়ানো হবে বলে ঠিক হয়েছে।
এক কর্তা বলেন, ‘‘এর পাশাপাশি আমরা প্রতিষেধক দেওয়ার উপরেও জোর দিচ্ছি। সব মিলিয়ে সংক্রমণ রোখার একটা সামগ্রিক পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’