abuse

কাউন্সেলিং সেন্টারেই ‘যৌন নির্যাতন’ বালিকার, ধৃত কর্মী

আট বছরের এক বালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দক্ষিণ কলকাতার একটি কাউন্সেলিং সেন্টারের এক কর্মীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

রাজীব চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি

আট বছরের এক বালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দক্ষিণ কলকাতার একটি কাউন্সেলিং সেন্টারের এক কর্মীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ওই দিন বিকেলে। পুলিশ জানায়, বুধবার আদালতে তোলা হলে প্রহ্লাদ মণ্ডল নামে বছর পঞ্চান্নের ওই অভিযুক্তকে সাত দিনের জন্য জেল হেফাজত দেওয়া হয়।

Advertisement

অভিযোগকারী দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দা। তিনি নিজেই নারী ও শিশু অধিকার রক্ষার কাজে যুক্ত একটি সংগঠনের কর্মী। ওই ব্যক্তি জানান, মঙ্গলবার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তিনি যাদবপুরে এক মনোবিদের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর মেয়ের কাউন্সেলিং করানোর কথা ছিল। তাঁর দাবি, ‘‘ওই কেন্দ্রে গেলে মেয়ের কেস স্টাডি তৈরির জন্য আমাদের সেখানকার এক মহিলা কর্মীর ঘরে যেতে বলা হয়। মেয়েকে ওই ঘরে না নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলে ওকে রিসেপশনে বসিয়ে আমরা ওই কর্মীর চেম্বারে যাই। মিনিট পনেরো পরে মেয়ে দৌড়ে এসে ঘরে ঢুকে জানায়, ওর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন রিসেপশনে বসা ওই কেন্দ্রেরই এক কর্মী। তিনি কী করেছেন, তার বর্ণনাও মেয়ে দেয়। শুনে স্তম্ভিত হয়ে যাই। কোনও রকমে ওই কর্মীকে ধাক্কা দিয়ে আমাদের কাছে চলে এসেছিল মেয়ে।’’

ওই সময়ে ঠিক কী ঘটেছে, তা জানার জন্য ‘নির্যাতিতা’র বাবা রিসেপশনে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চান। তাঁর দাবি, ফুটেজ দেখানো হবে, এই আশ্বাস দিয়ে, তাঁদের প্রায় ৪৫ মিনিট বসিয়ে রাখা হয়। তার পরে ওই কেন্দ্রের এক কর্মী তাঁদের জানান, ওই সময়ের ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগকারীর আশঙ্কা, ‘‘ভিডিয়ো ফুটেজ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় আমার মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। দ্রুত ওকে সেখান থেকে সরিয়ে আনতে চাইছিলাম। আমার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন। আমি থানায় অভিযোগ জানাতে যাই।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘থানায় ঘটনার কথা জানানোর পরে পুলিশ ডেকে পাঠায় ওই মনোবিদকে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তখন আমাকে সেখানে থাকতে দেওয়া হয়নি।’’ অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন ওই কেন্দ্রের কর্মীরা’।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই মামলা রুজু করে তদন্তে নামা হয়। অভিযুক্ত প্রহ্লাদকেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকড়াও করা হয়েছে। পকসো আইনের ৮ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।’’ কলকাতা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন মহুয়া শূররায় বলেন, ‘‘বুধবার মেয়েটির শারীরিক চিকিৎসা হয়েছে। পরে আদালতে ওর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। আশা করি, অভিযুক্ত শাস্তি পাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement