প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক দিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন, নানা রকম সরকারি কাজের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরাই রাজ্যবাসীর কাছে যাবেন। রাজ্য সরকারের সেই ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে এ বার শামিল হতে চলেছে কলকাতা পুরসভাও।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম শনিবার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচির সঙ্গে কলকাতা পুরসভাও থাকবে। পুর পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে বা কোনও সমস্যার সমাধানে নাগরিকদের আর পুর দফতরে আসতে হবে না। আমরাই মানুষের কাছে পৌঁছে যাব।’’
ফিরহাদ জানান, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুরসভার এই কর্মসূচি চলবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে পাওয়া থেকে শুরু করে মিউটেশন, বাড়ির নকশা অনুমোদন এবং ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’ ও ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (পুরসভার মাধ্যমেই কলকাতা পুর এলাকার বাসিন্দাদের এই সমস্ত পরিষেবা দেওয়া হয়) প্রকল্পের যাবতীয় পরিষেবা পাওয়া যাবে। পুরকর্তারা জানান, ‘স্বাস্থ্যসাথী’র ফর্ম সব ক’টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে বিলি করার পরে তা জমা নিয়ে সেগুলি রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত করা হবে।
ফিরহাদ জানান, কলকাতা পুর এলাকায় ১৪৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই পুরসভার আধিকারিকেরা শিবির তৈরি করে এই কাজ করবেন। এ ছাড়া, সব ক’টি ওয়ার্ডে ১০ জনকে নিয়ে একটি করে কমিটি তৈরি করা হবে। কমিটিই বিষয়গুলি দেখবে। আপাতত চারটি পর্যায়ে এই কাজ করা হবে।
প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান জানান, প্রথম পর্যায়ে ১ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫ থেকে ২৪ ডিসেম্বর, তৃতীয় পর্যায়ে ২ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ও শেষ পর্যায়ে ১৮ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুরসভার এই শিবির চলবে। উল্লেখ্য, গত অগস্ট মাসেই কলকাতা পুরসভা ‘কেএমসি অ্যাট ডোরস্টেপ’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু লকডাউন সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় তা সেই সময়ে বাস্তবায়িত হয়নি। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে।