প্রতীকী ছবি
লকডাউনের জন্য আটকে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শর্তসাপেক্ষে চালু করতে চায় কেএমডিএ। ওই কাজ চালু করার জন্য কলকাতা পুলিশ, রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর এবং কলকাতা পুরসভার অনুমতি চেয়ে তাদের চিঠি দেবেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ।
সরকারের অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে।কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ফেলে রাখতে রাজি নই। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। তাই লকডাউনের মধ্যে যেখানে যেখানে রাজ্য অনুমতি দেবে, সেখানেই কাজ শুরু করা হবে।’’ তিনি জানান, প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থা ইতিমধ্যেই শর্তসাপেক্ষে কাজ শুরু করতে চায় বলে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।
কেএমডিএ-র কর্তারা জানান, কোন এলাকায় কত শ্রমিক নিয়ে কী কী কাজ করা হবে— তার একটি তালিকা তৈরি করে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের কাছে পাঠানো হবে। শ্রমিকেরা কী ভাবে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখবেন, তা-ও বিস্তারিত জানানো হবে প্রশাসনকে। তারা বিবেচনা করে দেখবে, করোনা মোকাবিলায় শহরকে যে রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জ়োনে ভাগ করা হয়েছে, ওই জায়গাটি তার মধ্যে কোন জ়োনে পড়ছে। তার পরেই মিলবে কাজের ছাড়পত্র। তবে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে না। এ ছাড়াও কাজের জন্য ভিন্ রাজ্য থেকে শ্রমিক বা নির্মাণসামগ্রী আনা হবে না বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।
আধিকারিকদের বক্তব্য, পুরনো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আবাসন প্রকল্প, উড়ালপুলের সংস্কার, পানীয় জল প্রকল্প-সহ প্রায় ৫০টি প্রকল্প। সেগুলির কাজ ত্বরান্বিত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। কেএমডিএ সূত্রের খবর, শহর এবং তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি নির্ধারিত প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল গত অর্থবর্ষের মধ্যেই। কিন্তু কাজ কিছুটা এগোনোর পরেই শুরু হয়ে যায় লকডাউন। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সামান্য কিছু কাজ বাকি। তা হলেই ওই প্রকল্পগুলি শেষ হয়ে যাবে। উড়ালপুল এবং সেতুগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে রুটিন মেরামতির দরকার হয়, আপাতত সেগুলির উপরেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।