প্রতীকী ছবি
বিভিন্ন উপায়ে দূরত্ব-বিধি বজায় রেখে নিউ টাউনে চলছে হিডকো, নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) এবং নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের অফিসের কাজ। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে ২৫ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতিতে চালানো হচ্ছে অফিস। চালু হয়েছে সব পরিষেবা।
এত দিন মূলত জরুরি পরিষেবা এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলানোর কাজ চলছিল। সম্প্রতি ন্যূনতম কর্মীর উপস্থিতিতে সরকারি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। কিন্তু কী ভাবে কর্মচারীরা যাতায়াত করবেন, কী ভাবে অফিসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে— তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। হিডকো সূত্রের খবর, এক স্থপতি লকডাউনের সময়ে সহযোগিতা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কী ভাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়িয়ে অফিস চালানো যাবে, তা নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেন তিনি। তার মধ্যে ছিল অফিসের প্রবেশপথে জীবাণুনাশের জন্য অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার, শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য এক ধরনের ক্যামেরার ব্যবহার প্রমুখ। হিডকোর এক শীর্ষ কর্তা জানান, ওই স্থপতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।
আপাতত দিন পাল্টে নিউ টাউনের অফিসগুলিতে গাড়ি করে নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মীকে নিয়ে আসা হচ্ছে। এক জন কর্মী বা আধিকারিককে পরপর দু’দিন অফিসে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢোকার মুখে প্রত্যেককে স্যানিটাইজ়ারে হাত পরিষ্কার করে তবেই ঢুকতে হচ্ছে। লিফটে অনেক কম লোক একসঙ্গে উঠতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। কর্মী ও আধিকারিকদের হাজিরায় যন্ত্রের সামনে তাঁদের মুখের ছবি তোলা হচ্ছে।
হিডকো সূত্রের খবর, লকডাউনের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ এবং জরুরি পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রাখতে ১২টি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ২০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সহযোগিতা করছেন। সকলকে নিয়ে করোনা-সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রচার, ত্রাণ বিলি, বাজার-ব্যবস্থা দেখভাল করা থেকে প্রবীণ নাগরিকদের দেখাশোনা করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)