প্রতীকী ছবি।
এ বার বেসরকারি বাস-মিনিবাসও নামতে পারে পথে। তবে কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। সরকারি বাসের মতোই এ ক্ষেত্রেও সর্বাধিক ২০ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। বাড়তে পারে ভাড়াও।
বুধবার পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বাস-মিনিবাসের সংগঠনগুলোর সদস্যরা রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে বাস চালানো নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়। পরিবহণ মন্ত্রী ছাড়াও এই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পরিবহণ নিগমের এমডি রাজনবীর সিংহ কপূর। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই বাস-মিনিবাসের নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভাড়া কী হবে, ভাড়া বাড়বে কি না সে বিষয়ে বাস সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তা ঠিক করার পর পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেবেন। পথে এখনই বাস নামানো সম্ভব কি না বা নামলেও তার ভাড়া বাড়ানো হবে কি না তা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবেন পরিবহণ মন্ত্রী।
তবে কলকাতার সর্বত্রই যেমন খুশি বাস চালানো যাবে না। কোথায় কোথায় কন্টেনমেন্ট জোন আর কোথায় কন্টেনমেনট জোন নেই তার একটি তালিকাও তুলে দেওয়া হবে বাস মালিক সংগঠগুলোক কাজ। সেই নিয়ম মেনেই চলবে বাস-মিনিবাস। জয়েন্ট কাউন্সিলর বাস সিন্ডেকেটের তরফে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। ভাড়া আমাদের বাড়াতেই হবে। তবে সেই ভাড়া কী হবে তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরিবহণ মন্ত্রীকে জানানো হবে।” পাশাপাশি তপনবাবু আরও বলেন, “আমরা দাবি জানিয়েছি এই সময়ে অনেক বাস মালিক ঋণ এবং সিএফ (ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট)-এর টাকা দিতে পারছেন না। এগুলো মকুব করার বিষয়টিও জানানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন: চালু হয়ে গেল সরকারি বাস, কোন ১৩টি রুটে মিলবে পরিষেবা, দেখে নিন
একটি সূত্রের খবর, বিভিন্ন মিনিবাস ও বাসের মালিকরা চাইছেন ন্যূনতম ২০-২৫ টাকা করা হোক। একটি বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। শুধু তাই নয়, যেহেতু বেশির ভাগ জায়গা কন্টেনমেন্ট জোনের আওতার মধ্যে পড়ছে তাই অনেক ক্ষেত্রেই পুরো রুটে বাস চালানো সম্ভব হবে না। তাই বাস মালিকরা চাইছেন, এই অল্প যাত্রী নিয়ে পরিষেবা দিতে গেলে ভাড়া বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আগামী ১৮ মে থেকে এই বাস পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এমএসএমই পুনরুজ্জীবনে ৩ লক্ষ কোটির প্যাকেজ, গ্যারান্টি ছাড়াই মিলবে ঋণ