—প্রতীকী চিত্র।
করোনা-আতঙ্কের এই পরিস্থিতিতে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘উদার’ হতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে আদালতের কাজ সচল রাখার জন্য ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দায়রা বিচারকদের কাজের নির্ঘণ্ট তৈরি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তা সত্ত্বেও বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমছে না। অনেকেই সময় মতো জামিন না-পেয়ে জেলে আটকে রয়েছেন বলে অভিযোগ।
আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, কোথাও হয়তো ভিডিয়ো কনফারেন্সে শুনানির পরিকাঠামো নেই, কোথাও আবার পরিকাঠামো থাকলেও মামলার শুনানির আবেদন অনলাইনে জমা দেওয়া যাচ্ছে না। তার ফলে বিচারকেরা আসছেন, কিন্তু বিচার হচ্ছে না! শিয়ালদহ ও আলিপুর আদালতে এই সমস্যা সব থেকে বেশি বলে সূত্রের দাবি।
আইনজীবীদের বক্তব্য, সময় মতো চার্জশিট জমা না-পড়লে বা দীর্ঘদিন জেল হেফাজতে থাকলে অভিযুক্তেরা জামিন পেতে পারেন। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলে ভিড় কমাতে বলা হলেও অনেকেই আটকে রয়েছেন। স্বাভাবিক নিয়মে কাজ হলে তাঁরা অনেকেই জামিন পেতে পারতেন। আইনজীবীরা আরও জানান, ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত আদালতে হাজির থাকলেও সাত বছরের বেশি সাজা হতে পারে, এমন সব মামলার শুনানি তাঁদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। ফলে হাইকোর্ট যতই নির্ঘণ্ট তৈরি করে দিক, কাজের কাজ হচ্ছে না।
হাইকোর্ট সূত্রের দাবি, কেন এমন ‘অব্যবস্থা’ চলছে, তা সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। হাইকোর্টের সেন্ট্রাল প্রোজেক্ট কোঅর্ডিনেটর শুভার্থী সরকার জানিয়েছেন, কী ভাবে
মামলার ই-ফাইলিং করতে হবে, তার সবটাই আইনজীবীদের বলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতগুলিই দেখছে।