প্রতীকী ছবি
একে কন্টেনমেন্ট জ়োনের মধ্যে বাড়ি। তার উপরে গভীর রাত। অসুস্থ এক বৃদ্ধার প্রয়োজন ছিল একটি ওষুধের। যেটি জীবনদায়ী ওষুধ বলেই দাবি তাঁর পরিবার ও পুলিশের। লকডাউনের রাতে সেই ওষুধ আচমকাই প্রয়োজন হয়ে পড়ে ওই বৃদ্ধার। উপায়ান্তর না দেখে ওষুধের প্রয়োজনে লালবাজারে ফোন করেন বৃদ্ধার ছেলে। পরে লালবাজারের নির্দেশ পেয়ে রাত আড়াইটে নাগাদ বৃদ্ধাকে ওষুধ পৌঁছে দেন বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসার অমরনাথ দাস এবং পুলিশকর্মী অনিমেষ রায়।
পুলিশ জানায়, নারকেলডাঙা এলাকায় থাকেন রীতেশ্বর নাহাটা। শনিবার গভীর রাতে তাঁর বৃদ্ধা মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। রীতেশ্বর ফোনে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দ্রুত একটি জীবনদায়ী ওষুধ দিতে বলেন। লকডাউন এবং কন্টেনমেন্ট জ়োনের ঝক্কির কারণে রীতেশ্বর লালবাজারে ফোন করেন। এর পরে লালবাজার থেকে বেলেঘাটা গার্ডে ডিউটিতে থাকা অফিসার অমরনাথকে বিষয়টি জানানো হয়।
রাত একটা নাগাদ ওই নির্দেশ পেয়ে ওই অফিসার রীতেশ্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফুলবাগান মোড়ে পৌঁছে যান। সেখান থেকে ওই ওষুধের নাম জেনে পুলিশকর্মী অনিমেষকে নিয়ে কয়েকটি জায়গা ঘুরে ওই ওষুধ জোগাড় করে এনে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধা এখন সুস্থ রয়েছেন।