প্রতীকী ছবি
করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলগুলিকে ফি বাড়াতে নিষেধ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিছু স্কুল নির্দেশ মেনে বর্ধিত ফি কমিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, কয়েকটি স্কুল এখনও ফি কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। কোনও কোনও স্কুল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফি জমা না দিলে জরিমানা নেওয়ার কথাও বলেছে বলে অভিযোগ।
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের সুধীর মেমোরিয়াল স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, সেখানে প্রতি ক্লাসে ফি বাড়ানো হয়েছে আট থেকে ন’হাজার টাকার মতো। করোনা পরিস্থিতিতে ফি কমানোর দাবি জানিয়ে স্কুলে চিঠি দিয়েও ফল হয়নি। এক অভিভাবক বলেন, “এরকম হলে বাচ্চাকে স্কুল ছাড়িয়ে দিতে বাধ্য হব।” কর্তৃপক্ষের তরফে স্কুলের কো-অর্ডিনেটর কোয়েল রায়চৌধুরী বলেন, “ফি বাড়ানোর কথা জানানো হয় গত সেপ্টেম্বরে। ডিসেম্বরে ফি বাবদ কয়েকটি খাতে টাকা কমানোও হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি ফের ফি কমানোর মতো জায়গায় থাকেন, তা হলে অবশ্যই তা বিবেচনা করে দেখা হবে।” স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের অভিভাবকদের অভিযোগ, ৩০ মে-র মধ্যে ফি জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে স্কুল। তাঁদের একাংশের দাবি, ওই সময়সীমা বাড়ানো হোক। একটি বেসরকারি স্কুলপড়ুয়াদের অভিভাবকদের সংগঠনের তরফে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “স্কুলগুলিকে মানবিক হতে আবেদন করছি।”