ছবি এএফপি।
সংক্রমণ এড়াতে সাময়িক ভাবে জোড়াসাঁকো থানা এলাকার ফল মান্ডি সরানোর পরিকল্পনা শুরু করল প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, ফল বোঝাই গাড়িগুলিকে হাওড়ার সাঁতরাগাছির কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে আটকে সেখানেই ওই ফলের বাজার বসানো হবে। তবে কবে থেকে ওই ফল বাজার বন্ধ করে তা সরিয়ে নেওয়া হবে, এ নিয়ে রবিবার পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সূত্রের দাবি, ফল মান্ডির ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে রমজান মাসে ওই বাজার সরানোর বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই বাজারটি বন্ধ করে তা সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে শহরের বড় পাইকারি বাজারগুলি সরানো হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার সদ্য গঠিত প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। সেই তালিকায় ছিল বড়বাজারের নামও। সেই মতো পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জোড়াসাঁকোর ফল মান্ডি হাওড়ার সাঁতরাগাছির কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে সরানোর বিষয়টি স্থির হয়েছে। এ জন্য জায়গাও দেখা হয়ে গিয়েছে। রবিবার পুলিশের সঙ্গে বাজারটি সরানো নিয়ে সেখানকার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বৈঠকে বসেন।
সূত্রের দাবি, মধ্য কলকাতার ওই এলাকায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি। সেই পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, তাই এই সিদ্ধান্ত। ফলের লরি ওই এলাকায় না ঢুকলে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে বলে দাবি প্রশাসনের। লালবাজার সূত্রের খবর, ওই বাজারে এমনি সময়ে ছোট-বড় মিলিয়ে একশোরও বেশি লরি ঢোকে। রমজানের সময়ে সেই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। সেখান থেকে ছোট গাড়িতে শহরের সর্বত্র ফল সরবরাহ করা হয়। খুচরা বিক্রেতারা ফল কিনতে যান সেখানে। ফলে ভিড় লেগেই থাকে। বাজার সাঁতরাগাছিতে সরলে সেখান থেকে ছোট গাড়িতে ফল পৌঁছবে শহরের বাজারগুলিতে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)