প্রতীকী ছবি
রক্তের সম্পর্কের কোনও আত্মীয়ের ছাড়পত্র ছাড়া দেহের অন্ত্যেষ্টির অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। সেই অনুমতি নিতে লকডাউনের নিয়ম ভেঙে তাঁদের কাছে যেতে দিতেও গররাজি পুলিশ। ফলে মৃত্যুর পরে পাঁচ রাত কেটে গেলেও মর্গেই পড়ে আছে টিটাগড়ের এক যৌনকর্মীর দেহ। শুক্রবার সকালে স্থানীয় তালপুকুর বস্তি এলাকায় ২৬ বছরের ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল ওই তরুণীর। তা নিয়েই আগের রাতে সেই যুবকের স্ত্রী ও কয়েক জন বাসিন্দা তাঁকে মারধর করেন। পরের দিনই তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে।
ঘটনাটিকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও স্থানীয় কয়েক জনের সন্দেহ, এই মৃত্যুর পিছনে কারও অপকীর্তি রয়েছে। লকডাউনের মধ্যে তদন্ত দূরে থাক, তরুণীর শেষকৃত্যটুকুও হয়নি। যৌনকর্মীদের একটি সংগঠনের তরফে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, মৃতার আত্মীয়দের ছাড়পত্র লাগবে। স্বামীর সঙ্গে ওই তরুণীর যোগাযোগ ছিল না। সন্তানেরা নাবালক। তাই গাইঘাটায় তাঁর মাসির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু সেই অনুমতি কী ভাবে আনা হবে, তা নিয়ে টানাপড়েন চলছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) আমনদীপ বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: মুড়ি খেয়ে চার দিন, টুইটারে জানিয়ে মিলল রসদ