সতর্ক: গাড়ি থেকেই নাগরিকদের সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, মৌলালিতে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন এবং আশ্বস্ত করতে ফের পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও গাড়ি থেকেই নাগরিকদের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। মমতা এ দিন মৌলালি ও বেহালায় গিয়ে করোনা-সংক্রমণ নিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করেন। অসুবিধা সত্ত্বেও সকলে যাতে লকডাউন মেনে চলেন, সেই আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকেই বাইরে এসে কাজ করতে ভয় পান। আমরা বাইরে বেরিয়ে মানুষের কাজ করি। মানুষের কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেও গৌরব বোধ করব। তবু মানুষের কাজ করে যেতে হবে।’’ বেহালায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, লকডাউনের জন্য তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে লকডাউন করেছে, তাতে আপনাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা সমব্যথী।’’
মঙ্গলবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় বেরিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন। সে দিন রাজাবাজার এবং মাঠপুকুরে গাড়িতে বসেই এলাকার বাসিন্দাদের করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতন করেন তিনি। ফেরার পথে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে ঝাঁটা ধরে দেখিয়েও দিয়েছিলেন, কী ভাবে এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে হয়। বুধবার খিদিরপুর, পার্ক সার্কাস, বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেও গাড়িতে বসেই প্রচারের কাজ চালান।
এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টের পরে নবান্ন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় সোজা পৌঁছে যায় মৌলালিতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গাড়িতে বসেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আবেদনে জানান, সামনের উৎসবের সময়েও সকলে যেন বাড়িতে থাকেন। এর পরে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান বেহালা চৌরাস্তায়। সেখানেও একই ভাবে সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন মেনে চলার আবেদন জানান। মমতা বলেন, ‘‘অনেক কিছু দেখেছি, কিন্তু লকডাউন দেখিনি। নোটবন্দির পরে সবাই ঘরবন্দি।’’ বেহালা চৌরাস্তায় গাড়িতে বসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসকে আমরা ভয় পাই না। নানা রকম ছলনার ভাইরাসকে ভয় পাই।’’ এ দিন বেহালা এবং মৌলালিতে তাঁর কথা শুনতে বাড়ির জানলা এবং বারান্দায় অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথা যাতে সকলে শুনতে পান, তার জন্য দুই এলাকাতেই রাস্তার ধারে মাইক লাগানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনা হাসপাতালে নিষিদ্ধ হল মোবাইল
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় দলকে নিয়ে ব্যস্ত বাঙুর, সেই ফাঁকে ‘হাওয়া খেতে’ বেরিয়ে পড়লেন করোনা রোগী