ছবি: সংগৃহীত
ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে এবং গণপরিবহণ এড়াতে সাইকেলকে বেছে নিচ্ছেন অনেকে। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার নিউ টাউনে সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তার দৈর্ঘ্য সম্প্রসারণ করতে চাইছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) এবং হিডকো। পাশাপাশি পাঁচ নম্বর সেক্টরেও বেশ কিছু রাস্তা সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
কলকাতায় ৭০টি রাস্তায় সাইকেল চালানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সাইকেল চালানো নিয়ে কোনও নিষেধ ছিল না নিউ টাউনে। বরং সেখানে ২৯ কিলোমিটার রাস্তা নির্দিষ্ট করা ছিল সাইকেলের জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই রাস্তাই আরও বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এনকেডিএ সূত্রের খবর, উৎসাহ বাড়াতে ‘সাইকেল শেয়ারিং’ প্রকল্পও নেওয়া হয়েছিল। স্থির হয়, নিউ টাউনের ২০টি জায়গায় সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরি করে উৎসাহীদের সাইকেল ভাড়া দেওয়া হবে। ওই সব সাইকেলে থাকবে জিপিএস। কিন্তু লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় এই ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। কোভিড পরিস্থিতিতে সাইকেলের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে তাই পুজোর আগেই সেই প্রকল্প শুরু করে দিতে চাইছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত এক দিন, বিশেষত রবিবার সকলে যাতে গাড়ির বদলে সাইকেলে সওয়ার হন, সে জন্য এলাকাবাসীদের কাছেও আবেদন করা হতে পারে বলে এনকেডিএ সূত্রের খবর।
সাইকেলের ব্যবহার নিয়ে উৎসাহ বাড়াতে একটি সমীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনকেডিএ। সেখানকার এক কর্তার কথায়, ‘‘পরিবেশ দূষণ রোধে, স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাইকেলের জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে। তাই সাইকেলে যাতায়াতে উৎসাহ দিতে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।’’
সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরেও কিছু রাস্তা সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট করা হতে পারে বলে নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর। এর জন্য একিউ ব্লকে নতুন গাড়ি পার্কিং এলাকায় সাইকেলের স্ট্যান্ড তৈরির প্রাথমিক ভাবনা রয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী থেকে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, শিল্পতালুকমুখী রাস্তায় সাইকেলের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা হোক। বিধাননগরবাসীদের একাংশের বক্তব্য, গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাইকেল চালাতে সমস্যা হয়। তাই কিছু রাস্তা সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট করার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সাইকেলের ক্ষেত্রে লেন চিহ্নিতকরণ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।’’