প্রতীকী ছবি।
করোনা আক্রান্ত যাঁরা গৃহ-পর্যবেক্ষণে রয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসায় এ বার বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের সাহায্য নিচ্ছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, কোভিড রোগীদের অনেকেই বাড়িতে চিকিৎসা করাচ্ছেন। তাই এই পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু হচ্ছে।
এই প্রবণতার জন্য গত কয়েক মাস হাওড়ায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ছ’টি কোভিড হাসপাতালে অধিকাংশ শয্যা ফাঁকা পড়ে আছে। গোটা জেলায় করোনা রোগীদের জন্য শয্যা রয়েছে ১৩৫৩টি। যার অর্ধেক ফাঁকা। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ২৪১টি শয্যার মধ্যে ৩০ শতাংশ শয্যা খালি রয়েছে। এ ছাড়াও তৈরি হয়েছে ১০টি সেফ হোম। যার মধ্যে ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৩০টি শয্যা ছাড়া বাকি সব সেফ হোম ফাঁকা পড়ে আছে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর তিনটি চিকিৎসক সংগঠন— ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিক্স এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজ়িশিয়ান্স অব ইন্ডিয়া-কে নিয়ে একটি প্রকল্প তৈরিতে উদ্যোগী হয়। সেই অনুযায়ী, গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকা রোগী যদি স্থানীয় চিকিৎসককে দিয়ে চিকিৎসা করাতে চান, তার ব্যবস্থা করবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরই। এ জন্য ২৫ জন চিকিৎসকের সঙ্গে তাদের চুক্তিও হয়েছে।
দফতরের এক আধিকারিক জানান, দেখা যাচ্ছে, করোনা রোগীরা পারিবারিক বা স্থানীয় চিকিৎসকের থেকেই পরামর্শ নিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। তাই এমন ভাবনা। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘স্থানীয় চিকিৎসকেরা আইএমএ-র সদস্য হলে তাঁদের সঙ্গে আমরাই করোনা রোগীর যোগাযোগ করিয়ে দেব। টেলি-মেডিসিন পদ্ধতিতে তিনি চিকিৎসা করবেন।’’