ঘেঁষাঘেঁষি: সাত দিন পরে খুলল হাওড়ার হরগঞ্জ বাজার। লাইনে দাঁড়ালেও দূরত্ব-বিধি মানলেন না ক্রেতারা। শুক্রবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পরে আবার খুলল হাওড়ার সালকিয়ার হরগঞ্জ বাজার। তবে ঢোকার সময়েই ক্রেতাদের যা ভিড় দেখা গেল, তাতে প্রশ্ন উঠে গেল দূরত্ব-বিধি মানা নিয়ে। পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত মতো বাজারে নিয়ম মেনে চলারই চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু অত্যধিক ভিড়ে সেই নিয়ম অনেক ক্ষেত্রেই মানা যায়নি। দীর্ঘ লাইন পড়েছে বাজারের বাইরে। এই নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ জন্মালেও পুলিশের দাবি, করোনা নিয়ন্ত্রণে এই ব্যবস্থা চলবে।
পুলিশ ও ব্যবসায়ী সংগঠন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, হরগঞ্জ বাজার খোলা হলেও বাজারের পাঁচটি গেটেই যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আনাজ, মুদিখানা ও মাছ বাজারে আলাদা আলাদা গেট দিয়ে প্রবেশ ও বেরোনোর ব্যবস্থা থাকবে। বাজারে প্রবেশের সময়ে থার্মাল গান দিয়ে ক্রেতাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। হাতে দেওয়া হবে স্যানিটাইজ়ার। সেই সিদ্ধান্ত মতোই এ দিন বাজারের ভিতরে ৫০ জনের বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে নেমেছিল হাওড়া সিটি পুলিশ ও হরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের সংগঠন। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ওয়াকিটকি নিয়ে নজরদারি চালান তাঁরা।
যদিও ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, বাজারে আনাজ বা মাছ কিনতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। দূরত্ব-বিধি মেনে ক্রেতাদের দাঁড় করাতে গিয়ে হরগঞ্জ বাজারের বাইরে দীর্ঘ লাইন পড়ে। গাদাগাদি ভিড়ও হয়ে যায় এক সময়ে। রোদের তাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকে বাড়ি ফিরে যান। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তার বক্তব্য, ‘‘বাজারের ভিতরে ভিড় কমিয়ে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতে গেলে লাইন করতেই হবে। ক্রেতাদের এইটুকু অসুবিধা মেনে নিতেই হবে।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)