Coronavirus

করোনার জের, ধৃতের আদালতে হাজিরা নিয়েও কড়াকড়ি

আদালত সূত্রের খবর, পুলিশ গ্রেফতার করার পরে অভিযুক্তকে কোর্টে হাজির করাতে হলে তাঁকে লক-আপে ঢোকানোর আগে ‘স্যানিটাইজ’ করা হচ্ছে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার ও শমীক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-সংক্রমণের জের এসে পড়েছে নিম্ন আদালতেও। আগেই বন্ধ হয়েছে শহরের নিম্ন আদালতগুলির কাজকর্ম। জেল থেকে অভিযুক্তদের আদালতে আনা তো দূর, এখন পুলিশ কোনও অভিযুক্তকে ধরে কোর্টে নিয়ে এলে তাঁকে বিচারকের সামনেও পেশ করা হচ্ছে না। অভিযুক্তকে রাখা হচ্ছে আদালতের লক-আপে। সেখানেও মেনে চলা হচ্ছে সংক্রমণ এড়ানোর পদ্ধতি। বিচারক কোনও কোনও মামলার ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে এজলাসে হাজির করার নির্দেশ দিলেও সেই সংখ্যা খুবই নগণ্য বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।

Advertisement

আদালত সূত্রের খবর, পুলিশ গ্রেফতার করার পরে অভিযুক্তকে কোর্টে হাজির করাতে হলে তাঁকে লক-আপে ঢোকানোর আগে ‘স্যানিটাইজ’ করা হচ্ছে। লক-আপে থাকা প্রত্যেক বন্দিকে দূরে দূরে রাখা হচ্ছে। লক-আপের পুলিশকর্মীদের মতো অভিযুক্তদেরও পরানো হচ্ছে মাস্ক। শুনানির সময়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিচারক অভিযুক্তকে এজলাসে হাজির করানোর নির্দেশ দিচ্ছেন না। সরকারি কৌঁসুলিরা না-থাকায় কোর্টের পুলিশ অফিসারের থেকে কেস ডায়েরি দেখে জামিন বা জেল হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিচারক। এক সরকারি কৌঁসুলি জানান, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই ওই ব্যবস্থা চলছে। তবে বেশির ভাগ থানা এলাকায় অপরাধ কমে যাওয়ায় গ্রেফতারের সংখ্যা কখনও কখনও শূন্যে গিয়ে ঠেকছে বলে পুলিশের এক আধিকারিক জানান।

রাজ্যের কারা দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিভিন্ন জেলে থাকা লঘু অপরাধের বিচারাধীন অভিযুক্তেরা জামিনের আবেদন করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট জেলের ওয়েলফেয়ার অফিসারের মাধ্যমে। ওই অফিসার সেই আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছে পাঠাবেন। বিচারক অনুমতি দিলে ওই বন্দিকে নির্দিষ্ট দিনে কোর্টে হাজির করাবেন কারা দফতরের অফিসারেরা। শিশুদের উপরে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, জাল টাকা পাচার বা ওই ধরনের গুরুতর অভিযোগ না থাকলে বিচারক অভিযুক্তকে জামিন দিতে পারবেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি জানিয়ে দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement