—ফাইল চিত্র
হাওড়ায় করোনার অন্যতম প্রধান আইসোলেশন কেন্দ্র হল সত্যবালা আইডি হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে যেতে চাইছেন না অনেকেই। মানুষের এই অনীহার কারণেই এ বার সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরসভার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার কাজ হবে। এর জন্য শনিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর, পুরসভা ও পুলিশের কর্তারা বৈঠক করে কী ভাবে কী হবে, তা ঠিক করেছেন। ঠিক হয়েছে, কাল সোমবার থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর, হাওড়া পুরসভা ও পুলিশ একযোগে এই কাজ শুরু করবে সেই আটটি ওয়ার্ডে, যেখানে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসন হাওড়াকে দ্রুত রেড জ়োন থেকে গ্রিন জ়োনে আনতে চেষ্টা করছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে অনেকেই অভিযোগ করেন, অব্যবস্থার কারণে সত্যবালা আইডি হাসপাতালে অনেকেই ভর্তি হতে চাইছেন না। সেই কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা হলেও তাঁরা প্রশাসনকে কিছু জানাচ্ছেন না।
কিন্তু এঁদের মধ্যে কারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়ে থাকলে তা আরও অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাওড়া পুরসভার ‘অতি স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত ৬, ১২, ১৫, ১৯, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসকেরা। সেখানে পুর প্রতিনিধি ও পুলিশের পদস্থ অফিসারেরাও উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: রমজানের সময়ে বিধি মানায় জোর পুলিশের
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের মধ্যে যাঁদের শারীরিক অবস্থা সন্দেহজনক বলে মনে হবে, তাঁদের লালারস সংগ্রহ করার জন্য পুরসভার স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাকা হবে। সেখানে লালারস সংগ্রহ করে তা পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য।’’