Coronavirus in Kolkata

প্রতিবেশীর রোষে করোনা যোদ্ধার পরিবার, চিকিৎসকের দাদাকে রড দিয়ে মার-ছেঁকা

কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক ভাই। তার খেসারত দিলেন দাদা। তাঁর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ২২:৫১
Share:

আক্রান্ত সুদীপ্ত বসু। নিজস্ব চিত্র

ভাড়া বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না বিডিও। বাধা দিচ্ছেন প্রতিবেশীরা। পুলিশি তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত বাড়িতে ঢুকতে পারেন তিনি। হুগলির গোঘাটের এই ঘটনার ভিডিয়ো এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। এখনও তাজা সেই ঘটনার রেশ। তার মধ্যেই বেহালার সরশুনায় খাস কলকাতার বুকে করোনা যোদ্ধার পরিবারকে চরম হেনস্থার মুখোমুখি হতে হল।

Advertisement

সরকারের বার বার আবেদনেও কাজ হচ্ছে না। ফের রাজ্যের করোনা যোদ্ধার পরিবারকে প্রতিবেশীদের হাতে বেনজির হেনস্থার শিকার হতে হল। কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক ভাই। তার খেসারত দিলেন দাদা। তাঁর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর পায়ে মোটরসাইকেলের গরম সাইলেন্সার পাইপ দিয়ে ছেঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাঁদের বৃদ্ধ বাবা-মা-কেও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা খাস কলকাতার বুকে, সরশুনায়। ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা করেছে সরশুনা থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বোম্বাই বাগানের বাসিন্দা চিকিৎসক সৈকত বসু মহেশতলার একটি সেফ হাউসের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রথম প্রথম তিনি আমতলার একটি হোটেলেই থাকতেন। কিন্তু পরবর্তী কালে তিনি নিজের বাড়িতে ফিরে আসতে থাকেন। জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরলেও তিনি পরিবারের থেকে আলাদা ভাবেই থাকতেন। কিন্তু এ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই চিকিৎসকের জন্যই এলাকায় করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। তাই তাঁরা দাবি তোলেন, চিকিৎসক সৈকত বসু নিজের বাড়িতে থাকতে পারবেন না। থাকলেও তাঁদের পরিবারের কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। সকলকেই কোয়রান্টিনে থাকতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বহিরাগতরা বাংলা চালাবে না, আগামী বার বৃহত্তম সভা: হুঙ্কার মমতার

গত কয়েক দিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। মঙ্গলবার দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ সৈকতের দাদা সুদীপ্ত বসু বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁকে ঘিরে ধরে ৭ থেকে ৮ জনের একটি দল। অভিযোগ, সুদীপ্ত বসুর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁর মাথা থেকে রক্তপাত হতে থাকে। এখানেই বিষয়টি থেমে যায়নি। অভিযোগ, তাঁর পায়ে মোটরসাইকেলের গরম সাইলেন্সার দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়। তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা-কেও গালিগালাজ করা হয়।

আরও পড়ুন: সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লকডাউন, কী কী বন্ধ কোথায় ছাড় দেখে নিন

পরে সৈকত বসু তাঁর দাদাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এই ঘটনায় সরশুনা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement