প্রতীকী ছবি।
করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ দম্পতিকে রেশন দিতে না চাওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে কালীঘাট থানা এলাকার ঈশ্বর গাঙ্গুলি স্ট্রিটে। ওই পরিবারের তরফে কালীঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঈশ্বর গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি বাড়িতে বছর সত্তরের এক বৃদ্ধা ও তাঁর আশি বছরের স্বামী থাকেন। বৃদ্ধ গত কয়েক দিন ধরে কোভিভ আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই রয়েছেন। তাঁর স্ত্রীও হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতির পরিচারিকা এ দিন সকালে বাড়ির উল্টো দিকের রেশন দোকানে জিনিস আনতে যান। অভিযোগ, ওই রেশন ডিলার তাঁকে জিনিস দিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি জানতে পেরে পাড়ার কিছু যুবক দোকানে গিয়ে এর প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়ে কালীঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিন বেলায় ওই বৃদ্ধা কালীঘাট থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, বাড়িতে তিনি ও তাঁর স্বামী থাকেন। স্বামী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর পরিচারিকার হাতে রেশনের জিনিস দিতে অস্বীকার করা হয়েছে। বৃদ্ধা অভিযোগে জানান, পাড়ার ছেলেরা এর প্রতিবাদ করলে ওই ডিলার যুবকদের জানান, তিনি ‘ইয়ার্কি’ মেরে ওই কথা বলেছিলেন। সূত্রের খবর, পাড়ার ছেলেরা বিষয়টি নিয়ে খাদ্য দফতরে অভিযোগ জানান। এর পরেই ঘটনাস্থলে হাজির হন ফুড ইনস্পেক্টর প্রণয় হালদার। ওই রেশন ডিলারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে প্রণয়বাবু বলেন, “ওই ডিলার অনুচিত কাজ করেছিলেন। তবে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। এ দিনই ওই দম্পতির বাড়িতে রেশনের জিনিস পৌঁছে দিয়েছেন ডিলার। আগামী দিনে এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়েও তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে।” অভিযুক্ত রেশন ডিলার পীতম্বরকুমার শর্মাকে এ দিন ফোন ও মেসেজ করা হলে তিনি তার জবাব দেননি।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)