— ফাইল চিত্র
সন্ধ্যার মেট্রোয় যাত্রীদের সফরের চাহিদা বাড়ছে। এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, সন্ধ্যা ছ’টা থেকে সাতটার মধ্যে ই-পাস বুকিং করার প্রবণতা সব চেয়ে বেশি। গত শুক্রবার মেট্রোয় সফরের জন্য ওই সময়ে প্রায় পাঁচ হাজার ই-পাস বুক করা হয়েছে। প্রকৃত চাহিদা আরও কিছুটা বেশি বলে মেট্রো সূত্রের খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত সময়ে কী ভাবে আট মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন চালানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। সোমবার মেট্রো ভবনে জেনারেল ম্যানেজারের উপস্থিতিতে গত এক সপ্তাহের পরিষেবা নিয়ে একটি পর্যালোচনা-বৈঠক ছিল। সেখানেই সান্ধ্য মেট্রোয় যাত্রীদের ভিড় বাড়ার প্রবণতার কথা উঠে আসে।
এ দিকে, ফের পরিষেবা শুরু হওয়ার পরে সোমবার মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় এ দিন যাত্রী সংখ্যা ছিল ৪৩,৭০০। পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ওঠে বৈঠকে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সকালে ৯টা থেকে ১১টা এবং বিকেলে ৫টা থেকে ৭টা কী ভাবে দু’টি ট্রেনের ব্যবধান কমানো যায়, তা খতিয়ে দেখতে বলেন জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী।
মেট্রো সূত্রের খবর, প্রতি স্টেশনে বেশিক্ষণ ট্রেন থামায় মেট্রোর যাত্রাপথে সময় বেশি লাগছে। এর ফলে বেশি রেক ব্যবহার করতে হচ্ছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপ এবং ডাউন লাইনে আরও তিন জোড়া ট্রেন বাড়তি চালাতে হবে। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিষেবা আরও স্বচ্ছন্দ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে কী কী করা দরকার, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)