ছবি: সংগৃহীত।
স্বস্তি বাড়ল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এনআরএসের ৩০ জন চিকিৎসক, পাঁচ জন নার্স এবং চার জন টেকনিশিয়ানের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এত চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান করোনা আক্রান্ত হলে কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা হয়ে গিয়েছিল। প্রত্যেকের নেগেটিভ হয়েছে, এটা একটা সুসংবাদ।’’
এরই মধ্যে করোনা-আবহে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকি কমাতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কোভিড ১৯-এর ন্যূনতম উপসর্গ থাকলে রোগীকে পৃথক রেখে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সেই সব ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও হবে সীমিত। যদি কোনও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন তা হলে তাঁকে দু’সপ্তাহ কোয়রান্টিনে রেখে ৭ এবং ১৪ দিনের মাথায় পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
গত শনিবার এনআরএসের সিসিইউয়ে ভর্তি ৩৪ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়। মহেশতলার বাসিন্দা যুবক প্রথমে মেল মেডিসিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় যুবকের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টে তাঁর করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এর পরেই চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ৮১ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রবিবার তাঁদের ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল। পরে আরও কয়েক জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের থেকে জেনেছি ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল। সব নেগেটিভ এসেছে। ওই যুবকের সঙ্গে সিসিইউয়ে যে দু’জন ভর্তি ছিলেন, তাঁদেরও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)