Coronavirus

নিয়ম ভাঙার মধ্যেও ব্যতিক্রমী শহরের দুই বাজার

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দক্ষিণ কলকাতার রামগড় এবং পাটুলির কেএমডিএ বাজারের সচেতনতামূলক এই প্রচেষ্টা দেখে খুশি ক্রেতারাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০২:৩০
Share:

সচেতন: বাজারে ঢোকার আগে বেসিনে হাত ধুয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা। পাটুলির কেএমডিএ বাজারে। নিজস্ব চিত্র

ক্রেতারা বাজারে ঢোকার সময়ে পাশে রাখা বেসিনে সাবান দিয়ে হাত ধুচ্ছেন। এক জন ক্রেতার থেকে অন্য জনের দূরত্ব প্রায় এক মিটার। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীদের মুখে পরা মাস্ক। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দক্ষিণ কলকাতার রামগড় এবং পাটুলির কেএমডিএ বাজারের সচেতনতামূলক এই প্রচেষ্টা দেখে খুশি ক্রেতারাও।

Advertisement

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে গত বৃহস্পতিবারই শহরের একাধিক বাজারে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রেতারা যাতে এক মিটার দূরত্বে দাঁড়ান, সে জন্য জানবাজার মার্কেটে ইটের টুকরো দিয়ে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও রবিবার সকালে শহরের একাধিক বাজার ঘুরে নির্দেশ মানার ছবি চোখে পড়ল না। তবে ব্যতিক্রমী বাজারের তালিকায় রয়েছে রামগড় এবং পাটুলি। এ দিন পাটুলি কেএমডিএ বাজারে দেখা গেল, গেটের সামনে বসেছে বেসিন। ক্রেতার হাতে তরল সাবান দিয়ে দিচ্ছেন মাস্ক পরা কর্মী। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশ। রামগড় বাজারে এ দিন বাজার করতে গিয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দা যিশু সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘বাজারগুলিতে এমন নজরদারি থাকলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা কমে।’’ শনিবারই বাজার দু’টিতে পুরসভার তরফে বিক্রেতাদের মাস্ক দেওয়া হয়েছে।

এমন উদ্যোগে খুশি ‘ফোরাম অব ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে। তিনি বলেন, ‘‘দু’টি বাজারই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। শহরের ৩৮০টি বেসরকারি বাজার এবং ৪৬টি পুর বাজার যাতে এই বিধি কার্যকর করে সে জন্য বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলব।’’

Advertisement

কাঁকুড়গাছি ভিআইপি বাজার, কলেজ স্ট্রিট থেকে দক্ষিণের গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, ল্যান্সডাউন, লেক মার্কেট-সহ শহরের ৪৬টি বাজার কলকাতা পুরসভার অধীন। পুরসভার মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববি বলেন, ‘‘রামগড় ও পাটুলির মতো অন্য পুর বাজারগুলিতে এই ব্যবস্থা যাতে চালু করা যায়, তা দেখছি।’’ কলকাতা পুলিশের ডিসি (এনফোর্সমেন্ট শাখা) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘শহরের অন্য বাজারগুলিও যাতে এটা মেনে চলে সে জন্য পুরসভা ও বেসরকারি বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলব।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement