ছবি: পিটিআই।
বিশেষ সুরক্ষা-পোশাক পরে জনবহুল স্থানে জ্বর মাপার কাজ শুরু হল সল্টলেকের বিডি বাজারে। বিধাননগর পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাজারে বৃহস্পতিবার সকালে কমবেশি ৪০ জনের তাপমাত্রা মাপার কাজ হয়েছে। তবে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। ওই উদ্যোগ স্থানীয় কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত হলেও ওই ব্যবস্থা অন্য বাজারগুলিতেও চালু করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে পুরসভা।
স্থানীয় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানান, সল্টলেকের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এ দিন পুরকর্মীদের বিশেষ সুরক্ষা-পোশাক দেওয়া হয়েছে। একটি ইনফ্রা-রেড ফোরহেড থার্মোমিটার সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। তা দিয়েই এ দিন তাপমাত্রা মাপার কাজ হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বাজারে জিনিসপত্র নিয়ে আসা গাড়িচালক-খালাসিদেরও শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। অনিন্দ্য জানান, পর্যায়ক্রমে ওই ওয়ার্ডের অন্য বাজারেও ওই কাজ চালু থাকবে।
এ দিকে বিশেষ সুরক্ষা-পোশাক পরে গরমে কাজ করতে গিয়ে কাহিল হয়ে পড়েন পুরকর্মীরা। বেশি ক্ষণ ওই পোশাক পরে থাকলে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে বলে তাঁরা কাউন্সিলরকে জানিয়েছেন। কাউন্সিলর অবশ্য জানান, গরমে কষ্ট হলেও সুরক্ষার জন্যই ওই পোশাক। ধীরে ধীরে সবাই অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। বিডি ব্লকের বাসিন্দারাও ওই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, পরীক্ষামূলক ভাবে ওই ওয়ার্ডে কাজ করছেন কাউন্সিলর। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডেই প্রয়োজনীয় জায়গাগুলিতে এ ভাবে তাপমাত্রা মাপার মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রাথমিক কাজ করা যায় কি না, তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।