প্রতীকী ছবি
ব্যারাকপুরে এ বার মণিরামপুর এলাকায় এক ব্যক্তির করোনা ধরা পড়ল। বৃহস্পতিবার তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ার পরেই সিল করে দেওয়া হয় গোটা পাড়া। পাড়ার বাসিন্দাদের গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়। তার মধ্যে এলাকার এক চিকিৎসকও রয়েছেন।
আক্রান্ত মাঝবয়সি ওই ব্যক্তি বাগড়ি মার্কেটে একটি ওষুধের দোকানের কর্মী। সেই দোকানে খবর পাঠানো হয়েছে। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে যাঁরা যাতায়াত করতেন, তাঁদেরও গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। গত রবিবার ব্যারাকপুরের নোনাচন্দনপুকুর এলাকার এক বাসিন্দাও করোনায় আক্রান্ত হন।
মণিরামপুর এলাকার কাউন্সিলর অভিজিৎ মজুমদার জানান, ওই ব্যক্তির কাশি হচ্ছিল। ওষুধ খেয়েও সুস্থ হননি। দিন চারেক আগে স্থানীয় হাসপাতালে যান তিনি। সেখান থেকে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। তার পরে পাঠানো হয় এম আর বাঙুরে।
আরও পড়ুন: ‘করোনা-আতঙ্কে মরসুমি ডেঙ্গিকে ভুললে বিপদ’
ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকা জীবাণুমুক্ত করা শুরু হয়। ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও ছেলেকে সরকারি পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়। পাড়ার লোকজনকে আগামী ১৪ দিন বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। অভিজিৎবাবু জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি যে চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন, যে দু’টি ওষুধের দোকানে গিয়েছিলেন সবাইকেই গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকার সব বাজার-দোকান বন্ধ করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। জানালেই প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া হবে।
বাগড়ি মার্কেট সেন্ট্রাল কলকাতা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশুতোষ সিংহ বলেন, “বাগড়ি মার্কেটের কেউ আক্রান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তি সম্প্রতি মার্কেটে এসেছিলেন কি না তা দেখতে হবে। প্রশাসন যেমন বলবে, তেমন ব্যবস্থা করা হবে।”
আরও পড়ুন: পুলিশ কড়া হতেই রাস্তা ফাঁকা, অন্যত্র উল্টো ছবি
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)