—ফাইল চিত্র।
কলকাতা ছাড়াও বৃহত্তর শহরাঞ্চলের বিভিন্ন বহুতলে বসবাসকারী অশক্ত এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা করোনায় আক্রান্ত হলে বহুতলগুলির সোসাইটিকে তাঁদের সাহায্য করার আবেদন জানাল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার জানান, সোসাইটির প্রতিনিধিরা ওই বৃদ্ধবৃদ্ধাদের খবর রাখবেন। একইসঙ্গে স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর এবং থানার সঙ্গেও সোসাইটির প্রতিনিধিরা যোগাযোগ করতে পারবেন। শুক্রবার এই বিষয় নিয়ে কলকাতা পুরসভায় একটি বৈঠকে যোগ দেন স্বরাষ্ট্র সচিব। কী ভাবে সোসাইটিগুলি তাদের আবাসনের প্রবীণ-প্রবীণাদের করোনা হলে সাহায্য করতে পারে, তা নিয়েই এ দিন দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। বৈঠকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান, কলকাতা এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার, হাওড়ার জেলাশাসক এবং আশপাশের পুর এলাকার আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর এবং নিউ টাউনের বহুতলের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা অসুখ হলে কী ভাবে সাহায্য করা যায় সেই ব্যাপারে এ দিন এই আলোচনা করা হয়। আলাপনবাবু জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ নিজ নিজ পুর এলাকার বিভিন্ন বহুতলের সোসাইটিগুলিকে চিহ্নিত করবে। সোসাইটিগুলির নম্বর প্রশাসনের কাছেও রাখা থাকবে। পুরসভার কোঅর্ডিনেটর অথবা থানার নম্বর এবং স্বাস্থ্য ভবনের নম্বর সোসাইটির কর্মকর্তাদের রাখতে হবে। আলাপনবাবু বলেন, “সোসাইটির কর্মকর্তাদের কাছে রাজ্য সরকারের আবেদন তাঁরা যেন নিজ নিজ বহুতলে অসহায় বৃদ্ধ মানুষদের খেয়াল রাখেন। আগামী তিন চার দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়েছে।“
তিনি জানান, ছোট বাড়ি বা বস্তিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু বহুতলের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই গেটে স্বাস্থ্যকর্মীদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। তিনি জানান, অ্যাম্বল্যান্স বাড়ানো ছাড়াও কন্ট্রোল রুম এবং কল সেন্টারও বাড়ানো হয়েছে। তাঁর দাবি, বৃদ্ধবৃদ্ধাদের জন্য বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের প্রকল্প রয়েছে ঠিকই। তা সত্ত্বেও ওই বহুতলগুলির সোসাইটির প্রতিনিধিরা নিজেরাই আলাদা পরিকাঠামো তৈরি করলে যৌথ ভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।