করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে অনেক স্কুলে।—ছবি পিটিআই।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এ বার সতর্ক হচ্ছে শহরের বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলি।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরী জানাচ্ছেন, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি পড়ুয়াদের আপাতত খুব জরুরি না হলে নিজের দেশে না যাওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস জানিয়েছেন, অধ্যাপক, পড়ুয়া বা গবেষকদের বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ তাঁরা দিচ্ছেন না। বিদেশি পড়ুয়াদেরও তাঁদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দেওয়া হচ্ছে না।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে তৎপরতা শুরু হয়েছে অনেক স্কুলেও। ২৮ ফেব্রুয়ারি স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে প্রত্যেক জেলা স্কুল পরিদর্শককে স্কুলে সচেতনতা বাড়ানোর বার্তা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য জানান, ক্লাস শুরুর আগে প্রার্থনায় তাঁরা পড়ুয়াদের করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতন করছেন। বোর্ডে লেখা হয়েছে, কী ভাবে সচেতন থাকতে হবে। অন্য দিকে, বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের সচেতনতায় সমগ্র শিক্ষা মিশন থেকে যে পোস্টার পাঠিয়েছে তা ক্লাসে রাখছি।’’ খিদিরপুর অ্যাকাডেমির শিক্ষক শেখ মহম্মদ সালেহিন জানান, পড়ুয়াদের মুখোশ পরে আসতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ এলেও এই মুহূর্তে বোর্ডের পরীক্ষা চলায় তা পালন করা হয়নি।’’ সৌগতবাবুর মতে, প্রতিটি স্কুলকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, পড়ুয়ারা যেত বারবার ভাল করে হাত ধোয়। তবে পরিকাঠামোর অভাবে নির্দেশ মানার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। কারণ, অনেক স্কুলেই শৌচালয় পরিষ্কার রাখার সাফাইকর্মী নেই।
পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিও করোনাভাইরাস নিয়ে পড়ুয়াদের সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে। শ্রীশিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি যেমন জানান, স্কুলের প্রার্থনায় ও ক্লাসে এই সংক্রমণের বিষয়ে জানানো হচ্ছে।