সুনসান: কলকাতা বিমানবন্দরের প্রবেশপথ। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিট। কলকাতার মাটি ছুঁল বেঙ্গালুরু থেকে আসা এয়ার এশিয়ার বিমান। আপাতত এ শহরের বুকে সেটিই হয়ে রইল শেষ যাত্রী বিমান। এর পরে যাত্রী নিয়ে ফের গন্তব্যে উড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৫২টি বিমান।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বিমান চলাচলের শেষ দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ১৩২টি উড়ান প্রায় ২০ হাজার যাত্রীকে নিয়ে কলকাতায় নামে। আর প্রায় ১২০টি উড়ান ১২ হাজার যাত্রী নিয়ে অন্য শহরে উড়ে যায়। বুধবার সকাল থেকে খাঁ খাঁ করছে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল। বিমানবন্দরের কয়েক জন আধিকারিক, কিছু সাফাইকর্মী, চিকিৎসক দল, দমকল ও নিরাপত্তাবাহিনী ছাড়া আর কেউ নেই। তবে পণ্য বিমানের উপরে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এ দিন এমন দু’টি বিমান কলকাতায় নামে। এ ছাড়া খোলা রয়েছে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল-ও (এটিসি)। মঙ্গলবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের উপর দিয়ে উড়ে গিয়েছে প্রায় ১০০টি আন্তর্জাতিক উড়ান। এর পরে প্রতি দিন গড়ে ২০০টি আন্তর্জাতিক বিমান শহরের উপর দিয়ে উড়ে যাবে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে এটিসি-তে থাকবেন অফিসারেরা।
প্রথমে জানা ছিল, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ। কিন্তু মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণার পরে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমাও বাড়বে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। প্রাথমিক ভাবে বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, যাত্রী নিয়ে উড়ে যাওয়ার জন্য ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিমানগুলিকে।
মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে দেশের সব শহরের মাটিতে সব বিমান নেমে আসার পরে অবশ্য রাত ১টা ৪০ মিনিটে দিল্লিতে এসে পৌঁছয় নেপালের মহান এয়ারের বিমান। তেহরানে আটকে পড়া ২৭৭ জন যাত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই উড়ানকে নামার অনুমতি দেয় ভারত সরকার। আগামী দিনে এমন আরও কিছু বিশেষ উড়ান চালানো হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। বুধবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানচালকেরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, তাঁরা এই ধরনের উড়ান চালাতে প্রস্তুত আছেন।