প্রতীক্ষা: বিশেষ কুপন পেতে লাইনে আবেদনকারীরা। শুক্রবার, কসবার গীতাঞ্জলি কমিউনিটি হলের সামনে। নিজস্ব চিত্র
নামেই ‘রেড জ়োন’। কিন্তু অনেক জায়গাতেই করোনা-বিধি মানার বিন্দুমাত্র বালাই নেই। কারণ, খাদ্য দফতরের তরফে রেশন পেতে বিশেষ কুপনের জন্য আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার সব ওয়ার্ডে। আর তাকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গাতেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
যেমন কলকাতা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেড জ়োনের মধ্যেই পুরসভার কমিউনিটি হলে শুক্রবার দেখা গেল, প্রবল ভিড়ের মধ্যেই আবেদনপত্র পূরণের কর্মসূচি চলছে। সেখানে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়ানো আবেদনকারীদের লম্বা লাইন চলে গিয়েছে রাস্তা পর্যন্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশের অভিযোগ, এ দিনই প্রথম নয়, বৃহস্পতিবারও একই অবস্থা হয়েছিল।
রেড জ়োনের মধ্যে এ ভাবে আবেদনপত্র পূরণ কর্মসূচি নিয়ে ওই ওয়ার্ডের পুর কোঅর্ডিনেটর সুমন সিংহ বললেন, “কী করব? ওঁদের না ডাকলে কী ভাবে এত লোকের ফর্ম পূরণ হবে?’’
এ কাজই অন্য ভাবে করাচ্ছেন বলে জানালেন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু। তাঁর কথায়, ‘‘ক্লাবের ছেলেদের হাতে আবেদনপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। তাঁরাই আবেদনকারীদের দিয়ে সেগুলি পূরণ করিয়ে আমাদের কাছে জমা করে যাবেন। তার পরে কর্তৃপক্ষের সই হয়ে গেলে ফর্মের যে অংশটি আবেদনকারীদের দেওয়ার কথা, তা পৌঁছে দেওয়া হবে।”
পুর কমিশনারকে আবেদন করা ওই ফর্মের একেবারে উপরে লেখা রয়েছে, ‘শহরের জন্য বিশেষ কুপনের আবেদনপত্র’। আবেদনপত্রটিতে আবেদনকারীর নাম, ফোন নম্বর, ওয়ার্ডের নম্বর, থানার নাম ইত্যাদির পাশাপাশি দিতে হচ্ছে ডিজিটাল আধার কার্ডের জন্য আবেদনের পরে পাওয়া অ্যাপ্লিকেশন আইডি বা ১৬ সংখ্যার বার কোড।
আরও পড়ুন: ক্যানসার অস্ত্রোপচারের সম্মতি এল ভিডিয়ো কলে
আরও পড়ুন: করোনা-ভয়ে মেডিক্যালে রোগী ‘হয়রানি’ চলছেই
কিন্তু পুরনো রেশন কার্ডের নম্বর না দিতে পারলে এই আবেদনপত্র পূরণই করা যাবে না। আবেদন দেখে খাদ্য দফতর থেকে বিশেষ কুপন পাঠানো হবে আবেদনকারীদের নামে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস, কুপন দ্রুত চলে এলে সব ভোগান্তি মিটে যাবে।”