ফাইল চিত্র।
শ্রীভূমি, লেক টাউন-সহ দশটি ওয়ার্ডে করোনার প্রকোপ খানিকটা কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। তবে পুরসভার রাজারহাট-গোপালপুর সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলিতে বাড়ছে সংক্রমণ। ফলে সব মিলিয়ে পুর এলাকায় সংক্রমণের সংখ্যা কমেনি।
পুরসভা সূত্রের খবর, রবিবার ১৩৭ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন নতুন করে। সোমবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬১। এর মধ্যে পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের ১০৭ জন এবং বাকি ১০টি ওয়ার্ডের ৫৪ জন রয়েছেন। তবে আক্রান্তেরা বেশির ভাগই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। উপসর্গযুক্ত, মৃদু উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গহীন ওই ব্যক্তিরা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুরসভা। সোমবার দক্ষিণ দমদমের রবীন্দ্র ভবনে সেফ হোমে দু’জন ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারি কলকাতায় দমদমের দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার পুরসভা জানায়, ওই দুই ব্যক্তির এক জনের বয়স ছিল ৮৩ বছর, অন্য জনের ৫৮। তাঁরা অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে করোনার উপসর্গ মেলে। ৫ জানুয়ারি তাঁদের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বিষয়টি জানতে পারে পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আগের তুলনায় মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়লেও সর্বত্র এখনও দূরত্ব-বিধি বজায় থাকছে না। ইতিমধ্যেই সপ্তাহে তিন দিন করে বাজার বন্ধ রাখার কাজ শুরু করেছে পুরসভা। বাজার বন্ধ করে চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, যে সব দিনে বাজার খোলা থাকছে, সেই সব দিনে নাগরিকদের মধ্যে বিধি ভাঙার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দূরত্ব-বিধির তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক জানান, সপ্তাহে তিন দিন বাজার বন্ধ থাকছে। ফলে যে দিন বাজার খুলছে, সেই দিন ভিড়ের আশঙ্কা থাকছে। তবে রবিবার তেমন ভিড় লক্ষ করা যায়নি। বাসিন্দারা সহযোগিতা করলে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের কাজে আরও গতি আসবে বলে জানান তিনি। এলাকায় মাইকিং করে সচেতনতার প্রচার ছাড়াও ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ।