ফাইল ছবি
টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের ক্যান্টিনে একটি বিনোদন সংস্থাকে শুটিং করতে দিতে উদ্যোগী হওয়ার অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে। বুধবার সেই শুটিং হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য তার অনুমতি দেননি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে দিনভর বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।
অভিযোগ, এসএফআইয়ের নেতৃত্বাধীন কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভায়ন আচার্য চৌধুরী ওই বিনোদন সংস্থার থেকে লিখিত ভাবে টাকা নিয়ে শুটিং করতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ ভাবে কোনও ছাত্র সংসদ টাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বাইরের কাউকে শুটিং করার কথা জানাতে পারে না। সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এর আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শুটিং করেছে। এ বার শুটিং যে হবে, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে ছাত্র সংসদ জানালেও বহিরাগত কোনও সংস্থার থেকে টাকা নিয়ে যে তা করতে দেওয়া হচ্ছে— সেই তথ্য জানায়নি। চিরঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘এ ভাবে টাকা নিয়ে বহিরাগতদের শুটিং করতে দেওয়ার এক্তিয়ার ছাত্র সংসদের নেই। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা জানিয়ে দিই, সেটা করা যাবে না।’’
শুভায়নের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কোথাও শুটিংয়ের অনুমতি কোনও ছাত্র সংসদই দিতে পারে না। আমরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কাজটুকু করেছিলাম। সেই অনুযায়ী সহ-উপাচার্য এবং ডিন অব স্টুডেন্টসের অনুমতি সাপেক্ষে হস্টেল সুপারিন্টেন্ডেন্টকে শুটিংয়ের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। ওই বিনোদন সংস্থা জানিয়েছিল, তারা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের তহবিলে ১৬৪০০ টাকা দেবে।’’ তিনি জানান, শুটিং বাতিল হওয়ায় সেই টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে শুভায়ন এ কথা বললেও ক্যাম্পাসে তাঁর স্বাক্ষরিত যে চিঠির প্রতিলিপি ছড়িয়েছে, তাতে ওই সংস্থাকে হস্টেলের ক্যান্টিনে জায়গা দেওয়ার জন্যই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই এ দিন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিকেলে ওই গেট দিয়ে চিরঞ্জীববাবু গাড়ি করে বেরোতে গেলে তিনিও কিছু ক্ষণের জন্য আটকে পড়েন। পরে গাড়ি থেকে নেমে সহ-উপাচার্য জানান, শুটিং করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।