কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ চলছে। —ফাইল চিত্র।
আদিগঙ্গার উপরে মেট্রো রেল এমন ভাবে কয়েকটি স্টেশন তৈরি করেছে যে তাতে জলে ভাসমান বর্জ্য পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। সে সঙ্গে জলের গতিও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতে ইতিমধ্যেই আদিগঙ্গা সংক্রান্ত মামলাটি চলছে। সেখানে হলফনামা জমা দিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন ওই মামলায় আদালতবান্ধব হিসেবে নিযুক্ত পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।
সুভাষবাবুর বক্তব্য, ২০০১ সালে বিষয়টি প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের গ্রিন বেঞ্চে উঠেছিল। সেখানেই আদিগঙ্গার উপরে স্টেশন তৈরি করার বিরোধিতা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ওই স্টেশনের নির্মাণের আগে পরিবেশগত বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ প্রকল্পটির জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ছাড়পত্র দিয়েছেন।
কিন্তু সুভাষবাবুর অভিযোগ, উল্লিখিত প্রকল্পের জন্য সে রকম কোনও পরিবেশগত সমীক্ষাই কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়েনি এবং তিনিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। সুভাষবাবুর কথায়, ‘‘আদিগঙ্গা বিপন্ন হয়ে যাওয়ার জন্য শেষ পেরেকটি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষই পুঁতেছেন। যে দীর্ঘ পরিসর জুড়ে আদিগঙ্গার উপরে মেট্রোর স্টেশন হয়েছে, সেখানে কোনও ভাবেই আদি গঙ্গা পরিষ্কার বা পলি নিষ্কাশন করা সম্ভব নয়।’’ মেট্রোর এক কর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘যদি আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোনও চিঠি আসে তা হলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারেরা বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখবেন।’’