ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গে কংক্রিটের দেওয়াল তৈরির কাজ।—ফাইল চিত্র।
জোড়া দেওয়ালের পরেও আর একটি দেওয়ালের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। বৌবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গে কংক্রিটের সেই তৃতীয় দেওয়াল তৈরির কাজ সোমবার শেষ হয়েছে। ওই দেওয়ালকে কিছুটা থিতু হতে সময় দেওয়া হচ্ছে। আজ, মঙ্গলবার থেকে ফের সুড়ঙ্গে জল ভর্তি করার কাজ শুরু হতে পারে।
গত দু’দিনে করে ধসের পরিমাণ না-বাড়লেও সোমবার সেকরাপাড়ায় বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের অবশ্য আগেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাতা কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএমআরসিএল সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতি ঘণ্টায় মাটির স্তরে কী পরিবর্তন হচ্ছে, তা নথিভুক্ত করা হচ্ছে। জন এন্ডিকটের নেতৃত্বাধীন কমিটি ওই ফলাফল বিশ্লেষণ করে করণীয় ঠিক করছে। সুড়ঙ্গ বিপর্যয় সামলাতে তৈরি কমিটি এবং বৌবাজারে বাড়িগুলির স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখতে নীতিন সোমের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিটি সমন্বয় রক্ষা করে চলবে। মঙ্গলবারেই বাড়িগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষা শুরু হবে।
অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত না-হওয়া বাড়ি— সবই পরীক্ষা করা হবে। যাচাই করা হবে বাড়ির কাঠামো, ভিতের মাটি। মেট্রো-কর্তাদের দাবি, ধস নিয়ন্ত্রণে এ-পর্যন্ত নেওয়া সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয়েছে, বাড়ির স্বাস্থ্য-সমীক্ষায় তা জানা যাবে। এই বিপর্যয়ের ভবিষ্যৎ অভিঘাত কতটা তীব্র হতে পারে, তারও আঁচ পাওয়া যাবে ওই সমীক্ষায়। বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে কমিটি নতুন কিছু খুঁজে পেলে সেই তথ্যও জন এন্ডিকটের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে জানাবে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, অতি বিপজ্জনক হয়ে পড়া বাড়িগুলি ভাঙার কাজ শুরু হবে আজ। ভেঙে পড়া বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের দরকারি জিনিসপত্র উদ্ধারের বিষয়টির উপরেও লক্ষ রাখা হবে। যে-সব বাড়ির স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও আশঙ্কা নেই, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে সেখানে বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনা হবে ধাপে ধাপে।