চিংড়িঘাটায় নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করতে চলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। —ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের লোকসভা ভোটের মুখে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর পরিষেবা চিংড়িঘাটা পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য তৎপর হয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। তখন মেট্রোর ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখে মেট্রো সার্কেলের চিফ সেফটি কমিশনার জানিয়েছিলেন, ওই পথ আরও অন্তত ৯০ মিটার সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। ট্রেন ঘুরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তা জরুরি।
পাশাপাশি, ই এম বাইপাসের এক দিক থেকে অন্য দিকে মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন সেফটি কমিশনার। কিন্তু তখন কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ার কারণে নির্মাণকাজ আটকে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চাপান-উতোরের পরিস্থিতি তৈরি হয় ।
তবে মেট্রো সূত্রের খবর, আপাতত ওই জটিলতা কেটেছে। চিংড়িঘাটার ওই অংশে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের ২৮৮ এবং ২৮৯ নম্বর স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যে দু’টি স্তম্ভ তৈরি করা হবে, তাদের গঠন কিছুটা আলাদা। রাস্তায় গাড়ি চলাচলের পথ খোলা রাখতে ওই বিশেষ স্তম্ভ তৈরি করতে হচ্ছে। রাস্তার দু’পাশে স্তম্ভ তৈরি করে তা কংক্রিটের মোটা পাটাতন দিয়ে জুড়ে দেওয়া হবে। এর পরে ওই স্তম্ভের উপর দিয়ে তৈরি হবে মেট্রোপথ। ই এম বাইপাসের মেট্রোপলিটন মোড়ে যে অংশে নির্মাণ চলবে, সেই অংশটি ঘিরে অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করেছে পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ। যান নিয়ন্ত্রণের সমস্যা বুঝতে পুলিশের তরফে গত ৭ থেকে ১১ জুনের মধ্যে নাগাড়ে মহড়া চালানো হয়। তার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি মিলেছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
আপাতত ৯০ দিন রাস্তা ঘিরে রেখে কাজ চালানোর অনুমতি মিলেছে। আগামী অগস্টের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জোরকদমে কাজ চালাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। তবে, জোড়া স্তম্ভ নির্মাণের পরে ওই অংশে মেট্রোর উড়ালপথ নির্মাণ ছাড়াও স্টেশনে পৌঁছনোর জন্য ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কাজ বাকি থাকবে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাচ্ছেন, পুলিশের কাছ থেকে স্তম্ভ নির্মাণের অনুমতি মেলায় বড় জটিলতা কেটেছে।