প্রতীকী ছবি।
মিছিল করে প্রচারের সময়ে সিপিএম কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে রাজাবাজারের পার্সিবাগান এলাকার এই ঘটনায় সিপিএমের বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূলও। দু’টি দলের তরফে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এ দিন রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী প্রশান্ত দে-র সমর্থনে কৈলাস বসু স্ট্রিট থেকে মিছিল বেরিয়েছিল। ১১টা নাগাদ পার্সিবাগান এলাকা দিয়ে সেটি যাওয়ার সময়ে পাশ দিয়ে তৃণমূলের একটি মিছিল যাচ্ছিল। সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য ইন্দ্রজিৎ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আমাদের মিছিল শান্তিপূর্ণ ভাবেই যাচ্ছিল। হঠাৎই তৃণমূল প্রার্থী সাধনা বসু ও তাঁর দলের লোকজন আমাদের কর্মীদের দিকে তেড়ে আসেন। আমাদের কর্মীদের ঘুষি মারা হয়, লাঠি দিয়েও আঘাত করা হয়। চার জন আহত হন।’’ এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। ঘটনার পরে সিপিএম কর্মীরা আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় গিয়ে কিছু ক্ষণ ঘেরাও করেন। পরে পুলিশি আশ্বাসে ঘেরাও উঠে যায়।
এরই মধ্যে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় গিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সাধনাদেবীর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘সিপিএম হেরে যাওয়ার ভয়ে রাজনীতি করছে। ওরা প্রথমে আমাদের দু’জন কর্মীকে মারধর করে। এলাকায় সিপিএমের কোনও অস্তিত্ব নেই, তাই মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’ পুলিশি অনুমতি ছাড়াই সিপিএম এলাকায় মিছিল করছিল বলে অভিযোগ করেন সাধনাদেবী। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের মিছিলে পুলিশের অনুমতি ছিল।