লরির মধ্যে থাকা এই মাছই নিলামে ওঠে সোমবার। নিজস্ব চিত্র
গাঁজার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হওয়া কাঁচা মাছ বিক্রি হয়ে গেল সোমবার। হাঁফ ছাড়লেন কেন্দ্রীয় নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)-র কলকাতার অফিসারেরা।
এই মাছ বিক্রির জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। মূলত সেই বিজ্ঞাপন দেখেই এ দিন সকালে নির্ধারিত সময়ে নিউ টাউনে এনসিবি-র অফিসে হাজির হয়ে যান ক্রেতারা। প্রায় পৌনে দু’লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে সব মাছ। তবে মাছ ছিল কন্টেনারের মধ্যে, থার্মোকলের বাক্সের ভিতরে। অনুমান করা হচ্ছিল, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা ওই কন্টেনারে রয়েছে রুই ও কাতলা মাছ। তবে সোমবার একের পর এক বাক্স খোলার পরে দেখা গিয়েছে কাতলা নেই। রুই ছাড়াও বাক্সে ছিল রূপচাঁদা ও তেলাপিয়া মাছ।
এ দিন নিলামে হাজির ছিলেন এক মৎস্য বিশেষজ্ঞও। তাঁর বলে দেওয়া ন্যূনতম দাম দিয়ে শুরু হয় নিলাম। যিনি সবচেয়ে বেশি দাম দিয়েছিলেন, তিনিই নিয়ে গিয়েছেন প্রায় তিন টন মাছ। এনসিবি কর্তাদের মৌখিক আবেদন শুনে স্থানীয় বাজার থেকেও কিছু মৎস্য ব্যবসায়ী এসেছিলেন নিলামে অংশ নিতে। কিছু মাছ ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেগুলি বাদ দিয়ে বাকি মাছ বিক্রি করতে পেরে অফিসারেরা বেশ খুশি। বাজেয়াপ্ত এই মাছ ধীরে ধীরে তাঁদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছিল।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবারে। ওড়িশা থেকে গাঁজা পাচারের খবর পেয়ে ডানলপ সেতুর কাছে আটকানো হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা লরিটিকে। তল্লাশিতে দেখা যায়, লরিতে মাছের কন্টেনারের ভিতরে লুকনো রয়েছে ৪৫৩ কিলোগ্রাম গাঁজা। জানা যায়, ওড়িশায় লরি থামিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছিল ওই গাঁজা। লরিটি মাছ ও গাঁজা নিয়ে বনগাঁ যাচ্ছিল।
বৃহস্পতিবারের পর থেকে মাছ ভর্তি সেই লরি ছিল নিউ টাউনে এনসিবি-র দফতরে। বরফ গলে গিয়ে মাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তাই তড়িঘড়ি আদালতে ওই মাছ নিলাম করার অনুমতি চায় এনসিবি। শনিবার সেই অনুমতি পাওয়ার পরে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে মাছ বিক্রির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।