পুরসভার দাবি, যে সমস্ত রাস্তার হাল খারাপ, সেগুলি সবই পূর্ত দফতরের। —ফাইল ছবি।
কোথাও পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে ইট। কোথাও রাস্তা পুরো ভেঙেচুরে গিয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই সেখানে জল জমে। সেই রাস্তার গর্তে চাকা পড়ায় যাত্রী-সহ টোটো উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পুজোর আগে থেকে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার দমদম রোড, যশোর রোড-সহ একাধিক রাস্তার এমন বেহাল দশার ছবি চোখে পড়ছে। উৎসব শেষ হলেও রাস্তা মেরামতির কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও পুরসভার দাবি, যে সমস্ত রাস্তার হাল খারাপ, সেগুলি সবই পূর্ত দফতরের। ইতিমধ্যে পুর কর্তৃপক্ষ পূর্ত দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যশোর রোড সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বাকি রাস্তা ধাপে ধাপে মেরামত করা হবে।
রাস্তার এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখে প্রবল ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। একটি ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি জানালেন, পুর এলাকার মধ্যে হলেও কিছু রাস্তার দেখাশোনা পূর্ত দফতরের করার কথা। যদিও স্থানীয়েরা রাস্তা নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা পুরপ্রতিনিধিদেরই জানান। স্থানীয় বাসিন্দা গৌরব ঘোষের কথায়, ‘‘কোথাও কোথাও পুজোর মুখে তাপ্পি দেওয়া হয়েছিল। এখন তা-ও ভেঙেচুরে গিয়েছে। রীতিমতো বিপজ্জনক অবস্থা।’’
দক্ষিণ দমদমের এক পুরপ্রতিনিধি জানান, এক থেকে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মূল রাস্তা, দমদম রোড, যশোর রোডের একাংশের অবস্থা খুবই খারাপ। অটো, টোটো ও ছোট গাড়ির চালকদের অভিযোগ, ওই সব রাস্তায় চলতে গিয়ে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেই সঙ্গে দুর্ঘটনাও ঘটছে। দমদমের এক বাসিন্দা সুস্মিতা রায় জানান, লেক টাউন অংশে রাস্তার কাজ হয়েছিল। কিন্তু বাকি অংশে প্রশাসনিক তৎপরতা নেই।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে। রাস্তার অবস্থা সত্যিই খারাপ। পুরসভা এ বিষয়ে পূর্ত দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি পুর বৈঠকে এ নিয়ে সরব হন একাধিক পুরপ্রতিনিধি। তার পরেই পূর্ত দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তা এমন ভাবে মেরামত করা হোক, যাতে বহু দিন পর্যন্ত ঠিক থাকে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ পার্থ বর্মা জানান, রাস্তা মেরামতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই কাজ দ্রুত করতে পুর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। যশোর রোড সারাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।