Mob Lynching

পড়ুয়াকে চড়ুইভাতি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযোগ

সায়ন্তনের দাবি, ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ জুলাই। ওই দিন তাঁর এক বন্ধুকে বেলঘরিয়ার একটি ক্লাবের সামনে মারধর করা হয়েছিল। ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাঁকে ক্লাবে আটকে রেখে জোর করে নেশা করানো হয় ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ সায়ন্তনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বন্ধুদের সঙ্গে চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলেন এক কলেজপড়ুয়া। অভিযোগ, সেখানে আচমকাই পরিচিত কয়েক জন যুবক এসে তাঁর উপরে চড়াও হন। এমনকি, চড়ুইভাতির জায়গা থেকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে কিছুটা দূরে ওই পড়ুয়াকে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। পরে খবর পেয়ে পরিজনেরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে আনেন। ওই পড়ুয়া এবং যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য বলে খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।

Advertisement

বেলঘরিয়ার সবুজপল্লির ডিপি নগরের বাসিন্দা ওই পড়ুয়ার নাম সায়ন্তন রায়। তিনি স্থানীয় ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সোমবার তিনি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে রবিবার বিকেলে আড়িয়াদহ মিলনী মাঠ সংলগ্ন গঙ্গার ধারে চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই আচমকা কয়েক জন এসে জড়ো হন। অভিযোগ, সকলে মিলে সায়ন্তনের উপরে হামলা চালান। তার পরে তাঁকে টেনে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। সায়ন্তন জানান, এর পরে পরিচিত এক দাদাকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

সায়ন্তনের দাবি, ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ জুলাই। ওই দিন তাঁর এক বন্ধুকে বেলঘরিয়ার একটি ক্লাবের সামনে মারধর করা হয়েছিল। ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাঁকে ক্লাবে আটকে রেখে জোর করে নেশা করানো হয় ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ সায়ন্তনের। যদিও সকলেই একই দলের ছাত্র পরিষদের সদস্য হওয়ায় বিষয়টি মিটে যাবে ভেবে তখন অভিযোগ করেননি বলে দাবি ওই পড়ুয়ার। তবে, রবিবারের ঘটনার পরে বেলঘরিয়া থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

ব্যারাকপুরের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা সকলেই পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।’’ শাসকদলের ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান, তৃণমূলের গোপাল সাহা বলেন, ‘‘এখানে গোষ্ঠীর কোনও বিষয় নেই। কেউ অন্যায় করে থাকলে, পুলিশ-প্রশাসন তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement