— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের মুখে পানীয় জল নিয়ে ফের সমস্যায় দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দাদের একাংশ। কয়েকটি ওয়ার্ডে জল পর্যাপ্ত মিলছে না বলে অভিযোগ। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, মেরামতির কাজের জেরে মাঝে দু’দিন পানীয় জল সরবরাহের সমস্যা হয়েছিল। সে জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, এলাকায় প্রচারও করা হয়েছিল।
তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, গঙ্গার জলস্তর নেমে যাওয়ায় দক্ষিণ দমদম এলাকায় পানীয় জলের সম্প্রতি যে সমস্যা হয়েছিল, তা এখনও পুরো মেটেনি। পুর কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন, ওই সমস্যার কথা রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। পুর এলাকার ১-১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কল থেকে সরু ভাবে জল পড়ছে। কখনও সেটাও মিলছে না। মাঝেমধ্যেই তিন বেলার বদলে এক বেলা জল সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা রমা চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘জল কিনে খেতে হচ্ছে। পুরসভা জলের ট্যাঙ্কার পাঠালে অনেকে ভিড় করেন। এক বালতি জল ভরতে অনেক সময় লাগে। এ ভাবে কত দিন চলবে, জানি না।’’ দক্ষিণ দমদম পুরসভা জানিয়েছে, একটি জলের পাইপলাইন ফেটে যাওয়ায় মেরামত করতে হয়েছিল। সেই কারণে দু’দিন জল সরবরাহ করা যায়নি। যদিও তা বাসিন্দাদের আগাম জানানো হয়েছিল। পুরসভার দাবি, তার পরে জল সরবরাহের বেড়েছে। তা হলে বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে কেন? এক চেয়ারম্যান পারিষদ মুনমুন চট্টোপাধ্যায় জানান, এর আগে গঙ্গার জলস্তর নামায় কয়েক দিন পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করা যায়নি। তার পরে জল সরবরাহ বাড়লেও অসুবিধাটা রয়েই গিয়েছে। নিজস্ব ব্যবস্থা থেকে সেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুরসভা।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল পুর প্রতিনিধি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নিলেন যে, জলের জোগানে সমস্যা রয়েছে। তিনি জানান, জলের গাড়ি পাঠাতে হচ্ছে। বেশ কিছু অলিগলিতে পুরসভার জলের গাড়ি ঢুকতে পারে না। ফলে ওই সব
এলাকায় বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ফি বছর এমন সমস্যা হলে একটা স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন। স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব বসুর কথায়, ‘‘আর কত দিন ধরে জল কিনে খেতে হবে? প্রশাসন অন্তত সেটা স্পষ্ট করে বলে দিক।’’
দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক চেয়ারম্যান পারিষদ মৃন্ময় দাসের দাবি, স্থানীয় স্তরে দু’দিন জলের সমস্যা হয়েছিল, সেটা মিটেছে। তবে কামারহাটি জলপ্রকল্প থেকে সরবরাহ সংক্রান্ত যে সমস্যা ছিল, তা এখনও মেটেনি। এ বিষয়ে পুরসভার তরফে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে।