Fraud

কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের বাহিনীর কর্মীরই

অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর নাম পল্লব সরকার। তিনি এম আর বাঙুর হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টে কর্মরত ছিলেন গত এক বছর। গত শুক্রবার নিউ টাউন থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৩ ০৯:০৩
Share:

প্রতারণার অভিযোগে নিউ টাউন থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এক কনস্টেবল। প্রতীকী ছবি।

পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি নিউ টাউন থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এক কনস্টেবল। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় ইমেলের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করলেন কলকাতা পুলিশের এক হোমগার্ড। লালবাজারের এক কর্তা জানান, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার পর্যন্ত মামলা রুজু করা হয়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরেই মামলা রুজু করা হবে।

Advertisement

সূত্রের খবর, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর নাম পল্লব সরকার। তিনি এম আর বাঙুর হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টে কর্মরত ছিলেন গত এক বছর। গত শুক্রবার নিউ টাউন থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে আছেন পল্লব। পুলিশ জানিয়েছে, নিউ টাউন থানা এলাকার এক বাসিন্দাকে পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ভুয়ো নথি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। এক পুলিশকর্তা জানান, অভিযুক্ত কনস্টেবলকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

লালবাজার সূত্রের খবর, গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ওই হোমগার্ড অভিযোগে জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা বলে পল্লব তাঁর কাছ থেকে ২০২১ সালে প্রায় দু’লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সেই সময়ে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী একই বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ওই হোমগার্ডের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পরে ২০২২ সালের প্রথমে ট্র্যাফিক বিভাগে বদলি হন পল্লব। তার পরেই তিনি সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। অভিযোগকারী আরও জানিয়েছেন, গত বছর পল্লব দু’লক্ষ টাকার একটি চেক দেন তাঁকে। কিন্তু পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি বাউন্স করে। এর পরেই ওই হোমগার্ড প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি জানান কলকাতা পুলিশের শীর্ষ মহলেও।

Advertisement

তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে জেনেছেন, অভিযুক্ত এর আগে দীর্ঘদিন কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীতে ছিলেন। সেই সময়েও তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ওই কনস্টেবল ‘প্রভাবশালী’। সেই প্রভাবের জোরেই পার পেয়ে যেতেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement