New Town

স্মার্ট সিটির গর্ব বজায় রাখতে নিউ টাউনে বাসিন্দাদের প্রতিযোগিতা

এনকেডিএ সূত্রের খবর, আটটি বিষয় রয়েছে। সেই বিষয়গুলিকে ভিত্তি করে আবাসন বা ব্লক এলাকার আবাসিক সমিতি আবাসিকদের নিয়ে কী কী কাজ করেছে, সেই বিশদ তথ্য জমা দিতে হবে আবাসিক সমিতিগুলিকে। 

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪১
Share:

নিউ টাউন

আবাসিকদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। তবে কিছুটা ভিন্ন। এলাকায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাসিন্দাদের করা কাজকর্মকে ভিত্তি করেই হবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। এমন অভিনব পরিকল্পনা করেছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)।

Advertisement

কেমন হবে সেই প্রতিযোগিতা?

এনকেডিএ সূত্রের খবর, আটটি বিষয় রয়েছে। সেই বিষয়গুলিকে ভিত্তি করে আবাসন বা ব্লক এলাকার আবাসিক সমিতি আবাসিকদের নিয়ে কী কী কাজ করেছে, সেই বিশদ তথ্য জমা দিতে হবে আবাসিক সমিতিগুলিকে।

Advertisement

একটি বিশেষ দল সেই তথ্য যাচাই করবে, প্রয়োজনে এলাকায় গিয়ে সেই কাজ দেখে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবে। সমস্ত তথ্য পাওয়ার পরে তা বিশ্লেষণ করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সেই নিরিখে বিচার বিশ্লেষণ করে নম্বর দেওয়া হবে। তার ভিত্তিতে র‌্যাঙ্কিং করা হবে।

প্রতিযোগিতার বিষয়গুলি হল, করোনা সচেতনতা ও দূরত্ব বজায় রাখা, মশাবাহিত রোগ বিশেষত ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা ও তার প্রতিরোধক ব্যবস্থা তৈরি, এলাকায় পরিছন্নতা, এলাকায়, পরিচ্ছন্নতা, বনসৃজন, বর্জ্য পৃথকীকরণ, প্লাস্টিক সাফাই, জল সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি নিয়ে বাসিন্দারা কী কী কাজ করেছেন তার উপরে হবে এই প্রতিযোগিতা। কিছু দিনের মধ্যে এই বিষয়ে বাসিন্দাদের বিস্তারিত জানানো হবে বলে এনকেডিএ সূত্রের খবর।

বাসিন্দাদের একাংশ জানান, ইতিমধ্যে সবুজ স্মার্ট সিটি হিসেবে নিউ টাউন স্বীকৃতি পেয়েছে। এই গরিমাকে ধরে রাখতে গেলে বাসিন্দাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। এই কাজগুলি করা গেলে নিজেদের চারপাশকে আরও সুন্দর করে রাখা যাবে। বাসিন্দারা পরোক্ষ ভাবে হলেও সবুজ শহর গড়ে তোলার কাজে অংশ নিতে পারবেন। বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের এক কর্মকর্তা জানান, বিস্তারিত জানলে পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা হবে। প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানা গেল তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পরিকল্পনা কার্যকরী করার ক্ষেত্রে যেন জোর দেওয়া হয়।

এনকেডিএ সূত্রের খবর, বিষয়টি সংস্থার ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়টির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেছেন। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই বিস্তারিত ভাবে বাসিন্দাদের জানানো হবে। এমন প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের এলাকা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। ফলে সার্বিক ভাবে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা সম্ভব হবে।

সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা জানান, প্রতিযোগিতা হবে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে। এর ভিত্তিতে এলাকাগুলির একটি র‌্যাঙ্কিং তৈরি করা হবে। পরিকল্পনা রূপায়ণে বাসিন্দাদের সাড়া মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement