—ফাইল চিত্র।
চতুর্থ লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই বাজারে নজরদারি চালাতে মোতায়েন করা কমব্যাট বাহিনীকে কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ডিভিশন থেকে তুলে নেওয়া হল। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নিরাপত্তায় থাকা কমব্যাট বাহিনীর সদস্যদের তুলে সেখানে সশস্ত্র বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের চারটি জায়গার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কুইক রেসপন্স টিমকেও সরানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং স্কুলের মেস চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাহিনীর তিন সদস্যকে। যেটি এত দিন বাইরের সংস্থা চালাত।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং স্কুলে কমব্যাট বাহিনীর সদস্যদের বিক্ষোভের জেরেই আপাতত ডিউটির এই পরিবর্তন। ওই বাহিনীর কয়েক জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আরও প্রায় ৬০ জন সদস্য কোয়রান্টিনে রয়েছেন। ফলে ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনীতে কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে।
১৯ মে রাতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং স্কুল। মারধর করা হয় ডিসি (কমব্যাট)-সহ একাধিক আধিকারিককে। এ জে সি বসু রোড অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। যার পুরোভাগে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট বাহিনীর সদস্যেরা।
তাঁদের অভিযোগ ছিল, করোনায় বাহিনীর সদস্যেরা আক্রান্ত হলেও তাঁদের সংস্পর্শে আসা সহকর্মীদের কোয়রান্টিনে না পাঠিয়ে ডিউটি করানো হচ্ছে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা না দিয়েই জনবহুল এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। ঘটনার পরদিন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গেলে তাঁর কাছেও একই অভিযোগ করা হয়। কমব্যাট ফোর্সের ডিসি, রিজার্ভ অফিসার এবং ডিডিও-সহ তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তাঁরা।
লালবাজারের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর পরেই ওই ডিসি ১৫ দিনের ছুটিতে যান। বদলি করা হয় কমব্যাট ফোর্সের রিজার্ভ অফিসার, ডিডিও এবং আগের এসিকে। অভিজ্ঞ এক আধিকারিককে আনা হয়েছে এসি-র জায়গায়। সূত্রের দাবি, লকডাউন কার্যকর করতে প্রতিটি ডিভিশনে কমব্যাট বাহিনীর আট সদস্যকে লাঠি দিয়ে পাঠানো হচ্ছিল। নবান্ন থেকে আপাতত কমব্যাটকে সরিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। একই ভাবে মহাকরণের দায়িত্বে থাকা কমব্যাট বাহিনীর সদস্য কমানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বাহিনীর অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে সেই মতো পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’