প্রতীকী ছবি।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শহরের চার জায়গায় পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল। যদিও কোনও ঘটনায় হতাহতের খবর নেই।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ গিরিশ পার্ক থানা এলাকার গৌরমোহন মুখার্জি স্ট্রিটে একটি তিনতলা বাড়ির একতলার একাংশ ভেঙে পড়ে। এর কিছু ক্ষণ পরে, বেলা ১১টা নাগাদ বড়তলা থানা এলাকার হেমেন্দ্র সেন স্ট্রিটে ভেঙে পড়ে একটি জরাজীর্ণ তিনতলা বাড়ির একাংশ। স্থানীয় পুর কোঅর্ডিনেটর মোহনকুমার গুপ্ত বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার তরফে ওই বাড়িটিকে আগেই বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে কেউ বসবাস করতেন না। বাড়িটির ভাঙা অংশের কিছুটা পাশের একটি নতুন বাড়িতে গিয়ে পড়ে। তবে কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।’’ এ দিনই বেলা ১২টা নাগাদ জোড়াবাগান থানা এলাকার বৃন্দাবন বসাক স্ট্রিটে একটি দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই বাড়ি থেকে একটি পরিবারকে সরিয়ে দেয়। অন্য দিকে, সোমবার রাত আটটা নাগাদ ওয়াটগঞ্জ থানার কবিতীর্থ সরণিতে একটি পুরনো দোতলা বাড়ির বারান্দার একাংশ ভেঙে পাশের ফুটপাতে পড়ে। তবে সেই সময়ে ফুটপাতে কেউ না থাকায় বড় বিপদ হয়নি।
কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, শহরের বেশির ভাগ বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে উত্তর কলকাতায়। আগেই পুরসভা জানিয়েছে, শহরে ‘অতি বিপজ্জনক’ বাড়ির সংখ্যা প্রায় ১০০। সম্প্রতি উত্তর কলকাতায় দু’টি বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে মারা গিয়েছেন চার জন। আহত হয়েছিলেন একাধিক। সাম্প্রতিক সময়ের টানা বৃষ্টিতে উত্তর কলকাতায় একের পর এক বাড়ির অংশ ভেঙে পড়ছে। অথচ অভিযোগ, সব দেখেও কলকাতা পুরসভা নির্বিকার।
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার ক্ষমতা পুরসভার নেই। তার আগেই বাড়ির ভাড়াটেরা আদালতের শরণাপন্ন হন।’’ তিনি জানাচ্ছেন, বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে দ্বন্দ্বে আটকে রয়েছে অধিকাংশ পুরনো বাড়ির সংস্কার। ভাড়াটেদের বার বার বলা সত্ত্বেও তাঁরা পুরনো বাসস্থান ছেড়ে নড়েন না। অন্য দিকে ভাড়াটেদের পাল্টা অভিযোগ, বাড়ি সংস্কারের কথা বললেও তাতে কান দেন না মালিক।