ডিসেম্বরে তিন দিনের মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল ছবি।
নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতে মেঘালয়ে ভোট। তার আগে মমতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজেপিকে টক্কর দিতে মেঘালয়ে নামতে চাইছে সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি মাসের মাঝামাঝি গিয়েছিলেন মেঘালয় সফরে। তার ঠিক এক মাসের মধ্যে এ বার সেখানে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা অভিষেকের দলের সর্বময়নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১২ ডিসেম্বর তিনি রাজধানী শিলং পৌঁছবেন।
তৃতীয় বার বাংলা জয়ের পর এ বার মেঘালয় দখলে কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল। সেই লড়াইয়ে জোর দিতে ডিসেম্বরে সেখানে যাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বের তিনি শিলং পৌঁছবেন। ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসবেন কলকাতা। তিন দিনের সফরে একটি জনসভার পাশাপাশি কর্মিসভাও করবেন মমতা। এ ছাড়া সেখানে সাংবাদিক সম্মেলনেরও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। কথা বলতে পারেন সেখানকার দলীয় পদাধিকারীদের সঙ্গে। তবে মমতার সফরের দিন ঠিক হলেও কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
গত ১৮ নভেম্বর মেঘালয় ঘুরে এসেছেন অভিষেক। ডিসেম্বরের সফরে মমতার সঙ্গে তিনিও থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাংলায় যে ভাবে লড়ে বিজেপিকে হারিয়েছেন, সেই বার্তাই মেঘালয়ে দাঁড়িয়ে মমতা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যাতে ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে বিজেপিকে হারিয়ে মেঘালয়ের ক্ষমতা দখল করতে পারে তৃণমূল।
মেঘালয় সফরে গিয়ে অভিষেক স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপিকে টক্কর নিতে তৈরি তাঁরা। দাবি করেছিলেন, দিল্লি বা গুয়াহাটি নয়, মেঘালয় চালাবেন সে রাজ্যেরই মানুষ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমাদের দাবি ছিল, এ ভাবেই মেঘালয়ে বিজেপির অসম ও দিল্লির নেতৃত্বের ‘ছড়ি ঘোরানো’র বিষয়টি উস্কে দিয়েছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। ডিসেম্বরের সফরে বিজেপির বিরুদ্ধেও কি বঙ্গে পরীক্ষিত ‘বহিরাগত’ তিরই আবার প্রয়োগ করবেন তৃণমূলনেত্রী?
মঙ্গলবার অসম-মেঘালয় সীমানায় কাঠের চোরাচালান রুখতে গিয়ে বাধা পেয়ে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। তাতে ছ’জনের মৃত্যু হয়। বুধবারই তা নিয়ে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছিলেন মমতা। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘মেঘালয়ের মুখরোতে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ছ’জনের প্রাণ কেড়ে নিল, তার জন্য গভীর ভাবে শোকাহত।’’ টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন অভিষেকও।
মেঘালয়ে ভোটে এই ঘটনার অভিঘাত বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে ভোটের দু’মাস আগে মমতা মেঘালয়ে যাচ্ছেন।