এসএসকেএমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, রুটিন চেকআপের জন্য এসেছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই। এসএসকেএম সূত্রের খবর, উডবার্ন ব্লকে একটি কেবিন তাঁর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, এক্স-রে করানোরও ব্যবস্থা রয়েছে । হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।
গত কয়েক দিন ধরে পায়ের সমস্যায় ভুগছেন মমতা। শুক্রবার এসএসকেএমে পৌঁছে তিনি জানালেন, রুটিন চেকআপের জন্যই সেখানে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘শরীর ঠিক রয়েছে। পা চেকআপ করাতে এসেছি। আমি হাঁটছি। সবই ঠিক রয়েছে। রোজ বিশ হাজার পদক্ষেপ করছি। এমনিতে সময় পাই না। শুধু এক্স রে করাতে এসেছি।’’ এর পর তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। এও জানিয়েছেন, এগুলো বলে মানুষকে ‘বিরক্ত’ করার কোনও মানে হয় না। এখন সকলে সময়টা উপভোগ করুন।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে স্পেন এবং দুবাই সফর সেরে এসএসকেএমে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশে থাকাকালীন বাঁ পায়ের হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন। ব্যস্ত কর্মসূচি থাকায় বিদেশ সফরে পায়ের চিকিৎসা করাতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাই কলকাতায় ফেরার একদিন পরেই নিজের পায়ের চিকিৎসা করাতে যান তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
গত ২৭ জুন জলপাইগুড়ি থেকে আকাশে ওড়ার পরই দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মুখে পড়ে ওই হেলিকপ্টারটি। দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হয় সেবকে, বায়ুসেনার ঘাঁটিতে। সেখানেই কপ্টার থেকে তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে কোমরে এবং পায়ে চোট পান মমতা। সেই সময় থেকেই এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। যেই কারণে কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। জুন মাসে যে পায়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি, পরে বিদেশ সফরে সেই পায়েই চোট পেয়েছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল। পরে নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন, তাঁর পায়ের আঘাতের ভুল চিকিৎসা হয়েছিল এসএসকেএমে। যদিও এসএসকেএমের তরফে সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।