বন্ধ উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাংশ।—ফাইল চিত্র।
পুজোর সময়ে শহরে বাড়তি ভিড় এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাংশ খুলে দেওয়া হতে পারে বলে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত কারণে তা সম্ভব নয় বলে জানালেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অনুমান, আগামী মাসের শেষে উড়ালপুলের ওই অংশ খুলে দেওয়া যাবে। এই অংশটি বন্ধ থাকার ফলে পুজোর সময়ে বেলি ব্রিজ এবং কেষ্টপুর খাল সংলগ্ন রাস্তাগুলিতে যানজটের আশঙ্কা থেকেই গেল।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, উড়ালপুলের যে অংশে ফাটল দেখা গিয়েছিল তার মেরামতি হয়ে গিয়েছে। এমনকি, উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষাও করা হয়েছে। কয়েকটি প্রযুক্তিগত কাজ বাকি রয়েছে। সেটি শেষ করতে আরও দিন পনেরো সময় লাগবে বলে তাঁদের ধারণা। তার পরেই যানবাহন চলাচলের জন্য ওই উড়ালপুলটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেএমডিএ সূ্ত্রের খবর, গত জুলাই মাসের প্রথমে ওই উড়ালপুলের বাঁকের কাছে একটি স্তম্ভে ফাটল দেখা গিয়েছিল। এর পরেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় পুরো উড়ালপুলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ওই উড়ালপুলের একটি অংশ দিয়ে হাডকো মোড়ের দিক থেকে বিমানবন্দরগামী যানবাহন চলাচল শুরু করলেও যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেই অংশটি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। ফলে, বিমানবন্দরের দিক থেকে কলকাতাগামী সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সম্প্রতি শহরের বেশ কিছু উড়ালপুল এবং সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সেতু বিশেষজ্ঞ সংস্থা কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অন্য উড়ালপুলের সঙ্গে উল্টোডাঙা উড়ালপুল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই উড়ালপুলে কী কী করণীয়, তা পরবর্তী আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত ওই উড়ালপুলের মেরামতি হলেও সেটি ব্যবহার করার আগে আরও ‘টিউনিং’ প্রয়োজন।