এক দিনের ডিসি ববি দাস। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
এক দিনের জন্য ট্র্যাফিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার হয়ে হাওড়ার বাসিন্দাদের কাছে আইন মেনে পথ চলতে অনুরোধ জানাল দ্বাদশ শ্রেণির ববি দাস। ববির অভিযোগ, ‘‘হাওড়ায় কেউ ট্র্যাফিক আইন মানেন না। তাই ট্র্যাফিক আইন মানার পাশাপাশি সিগন্যালগুলিও ঠিক করতে হবে।’’
পথ নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এক মাস ধরে পোস্টার, ব্যানার, প্রোডাক্ট ডিজাইনের মতো বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ। সেই প্রতিযোগিতায় সেরা পোস্টার ডিজাইনার হিসেবে নগদ পুরস্কারের পাশাপাশি ববিকে এক দিনের জন্য শহরের যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সেই মতো এ দিন শরৎ সদনে পুরোদস্তুর পুলিশের পোশাক পরিয়ে তাকে ডিসি (ট্র্যাফিক)-র পদে
বসানো হয়।
এক দিনের জন্য ডিসি হয়ে হাওড়ার যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলের ছাত্রী ববি বলল, ‘‘হাওড়াবাসীর কাছে আমার আবেদন, আইন মেনে পথ চলুন। সকলের নিরাপত্তার জন্য নিয়ম মানুন।’’ এ ছাড়া, হাওড়া ময়দানে তিন দিন ধরে চলা মঙ্গলাহাট নিয়ে তার মন্তব্য, ‘‘পুরোটা না হলেও ওই বাজার যতটা সম্ভব সরিয়ে নেওয়া দরকার।’’
সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হাওড়া শহরে চলবে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ সপ্তাহ। সেই উপলক্ষে এ দিন শরৎ সদনে আয়োজিত হাওড়া সিটি পুলিশের এক অনুষ্ঠানে এক দিনের ডিসি (ট্র্যাফিক)-র হাতে দায়িত্ব তুলে দেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। ছিলেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, ডিআইজি (ট্র্যাফিক) বিবেক সহায়, পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা-সহ পদস্থ কর্তারা। এ দিনের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ, বিশেষত প্রবীণদের নিরাপত্তার জন্য একটি অ্যাপের উদ্বোধন করেন ডিসি (ট্র্যাফিক) ওয়াই রঘুবংশী। ওই অ্যাপ ডাউনলোড করার পরে বিপদে পড়লেই ‘এসওএস’ বোতাম টিপতে হবে। তা হলেই পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে যাবে। এ ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে পাঁচ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার হাতে বিপদঘন্টির রিমোট তুলে দেওয়া হয়। তাঁরা অসুস্থ হলে বা বাড়িতে চোর-ডাকাত হানা দিলে ওই রিমোটের সুইচ টিপলেই রাস্তায় লাগানো বিপদঘন্টি বেজে উঠবে। পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তায় বিপদঘন্টি লাগানোর কাজ এ বার শুরু হবে।